Home » এগিয়ে চলছে শেয়ারবাজার: বিনিয়োগকারীদের আরও ৮ হাজার কোটি টাকা ফিরলো

এগিয়ে চলছে শেয়ারবাজার: বিনিয়োগকারীদের আরও ৮ হাজার কোটি টাকা ফিরলো

শেয়ারবাজারের জন্য নতুন অর্থবছরের শুরুটা ভালোই যাচ্ছে। শুধু ভালোই নয়, তরতর করে এগিয়ে চলছে এই বাজার। আরও একটি স্বস্তির সপ্তাহ পার করলো দেশের পুঁজিবাজার।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায় নতুন অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম সপ্তাহের মতো দ্বিতীয় সপ্তাহেও সীমিত লেনদেন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, লকডাউনের মধ্যে লেনদেন সীমিত হলেও গেল সপ্তাহটি বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ ভালোই গেছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, একদিকে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, অন্যদিকে কঠোর লকডাউন চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও শেয়ার বাজার ভালো আছে। এটা অর্থনীতির সূচকগুলোর মধ্যে একটি ভালো দিক। তার মতে, তিন বছর আগে এ বাজারের প্রতি মানুষের আস্থা ছিল না, এখন আর সেই অবস্থায় নেই। ধীরে ধীরে এই বাজার আরও ভালো জায়গায় পৌঁছে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আট হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। এই নতুন অর্থবছরের প্রথম দুই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। সেইসঙ্গে বেড়েছে সবক’টি মূল্যসূচক। পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের গতিও।

বাজারের তথ্য বলছে, ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বা বাজার মূলধন ৫ লাখ ২৫ হাজার ২৭১ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার ২১৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৭ হাজার ১৮২ কোটি ১৮ লাখ ৬৫৯ টাকা। অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে আট হাজার কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে বেড়েছিল দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এই হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা।

বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আলোচিত সপ্তাহে (১২-১৫ জুলাই) তিন দিন উত্থান আর একদিন সূচকের সামান্য পতন হয়েছে। ফলে এই সপ্তাহে সূচক, বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং লেনদেনও বেড়েছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহে (১২-১৫ জুলাই) ডিএসইতে মোট চার কার্যদিবসে ৬ হাজার ৭০৬ কোটি ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৯ টাকা লেনদেন হয়েছে; যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৫২১ টাকা বেশি। শতাংশের হিসেবে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। এর আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৪১০ কোটি ৭০ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮৮ টাকা।

শেষ সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬৭টির, কমেছে ৯৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ২৩০টির, কমেছিল ১৩৬টির, অপরিবর্তিত ছিল ১০টির।

বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৪৩ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার ২২২ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪০ টাকা। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন কমেছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪৪টির, কমেছে ৭৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে সিএসইর প্রধান সূচক ৩১৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *