Main Menu

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে ৬১ জেলায় ১০ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে প্রাথমিকে প্যানেল প্রত্যাশী কমিটি ২০১৮ :

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “শেখ হাসিনার আহ্বান ৩ টি করে গাছ লাগান” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ এর প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির উদ্যোগে ৬১ জেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে এই কাজের উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ জেলার প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির সভাপতি জাকির আহমেদ ।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পর্কে প্যানেল প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জনাব আব্দুল কাদের বলেন: জলবায়ু ও মাটির গুনে প্রাচীন কাল থেকেই বাংলাদেশ সবুজের সমারহের জন্য সুপ্রসিদ্ধ। আর এ সমারহ শুধুমাত্র গাছের জন্য সংখ্যাধিক্যে সীমাবদ্ধ ছিলনা, প্রজাতীর বৈচিত্রও সমৃদ্ধ ছিল । পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার্থে একটি দেশের আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ এলাকায় বনভূমি থাকা একান্ত প্রয়োজন রয়েছে বলে বিশেজ্ঞগণ মনে করেন । কিন্তু বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় বনাঞ্চল এলাকার পরিমান মাত্র ৭.৭ ভাগ এবং ভুমি এলাকার তুলনায় ১৪ শতাংশ বনাঞ্চল । তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে ৬১ জেলাতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পর্কে প্যানেল প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব আবু হাসান বলেন: প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষন বনজ সম্পদের চাহিদা পুরন ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত ভাবে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো একান্ত প্রয়োজন । গন পর্যায়ে বৃক্ষ রোপন কেবল পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং ফলমূল ও বনজ সম্পদ দেশকে স্বনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করবে এবং দেশের অনুকূল ভুমিকা পালন করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে । এ প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে ৬১ জেলায় প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত হবে।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পর্কে প্যানেল প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি বাবুল মুন্সি বলেন: গাছ আমাদের একমাত্র অকৃত্রিম বন্ধু। গাছপালা বাদ দিয়ে পৃথিবীতে অন্য কোনো জীবের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায়না কিন্তু চারা গাছ লাগানো নয়, গাছ কাটার দিকেই মানুষের মনোযোগ বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই গাছ লাগানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত।আমাদের এই আধুনিক দূষিত যন্ত্র জীবনে বৃক্ষ রোপন করা একান্ত প্রয়োজন আমাদের নিজেদের স্বার্থে। তাই আমাদের সংগঠন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে ৬১ জেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য যে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী আবেদন করেন যার মধ্যে থেকে ৫৫,২৯৫ জন (২.৩%) পরীক্ষার্থী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় । অধিক পরিমাণে শূন্যপদ থাকার সত্ত্বেও ৫৫,২৯৫ জন থেকে মাত্র ১৮১৪৭ জন পরীক্ষার্থীকে চূড়ান্ত ভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। বাকি ৩৭ হাজার মেধাবী চাকরি প্রার্থী নিয়োগ বঞ্চিত হন। প্রাথমিকে রীট জটিলতার কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বন্ধ ছিল দীর্ঘ ৪ বছর। ফলে অনেক পরীক্ষার্থীর এটি ছিল শেষ চাকরির পরীক্ষা । তাছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ৮ নং এ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, শূন্যপদ পূরনের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে চূড়ান্ত নিয়োগে সম্পূর্ণ শূন্যপদ পূরণ না করেই পদায়ন কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয় যেটি ছিল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক ।

উক্ত সংগঠনের দাবি করোনা পরবর্তী প্রাথমিক শিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিতে প্রাথমিকে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগদান করে প্রাথমিক শিক্ষক সংকট দূর এবং করোনা কারণে পিছিয়ে পড়া শিক্ষা খাতকে অগ্রসর করার জন্য ৩৭ হাজার মেধাবীদেরকে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগদানের আহ্বান জানান সংগঠনটি

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.