রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত এবং ১৬৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার বিমানঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়ন করে বিমানবাহিনীর একটি চীনা নির্মিত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান (FT-7 BGI)। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বংস হয়।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্কুল ভবনে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক, দগ্ধ শিশুদের আর্তনাদ, নিখোঁজ সন্তানের খোঁজে পাগলপ্রায় অভিভাবক আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
নিহতদের হিসাব
আইএসপিআরের তথ্যমতে, নিহত ৩১ জনের মধ্যে: সিএমএইচে: ১৬ জন, বার্ন ইনস্টিটিউটে: ১০ জন, লুবনা জেনারেল হাসপাতালে: ২ জন, ঢাকা মেডিকেলে: ১ জন , উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে: ১ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে: ১ জন।
আহতদের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে:
বার্ন ইনস্টিটিউট: ৪৬ জন, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল: ৬০ জন, সিএমএইচ: ২৮ জন, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল: ১৩ জন
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল: ৮ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ: ৩ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: ৩ জন, ইউনাইটেড হাসপাতাল: ২ জন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ: ১ জন, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল: ১ জন
ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাসুকা বেগম। তাঁর মরদেহ মঙ্গলবার সকালে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করছে বিমানবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বার্তা বিভাগ প্রধান