দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় যৌথবাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবিতে গেট ভেঙে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় যৌথবাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। যৌথবাহিনী আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠি চার্জ করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে দুপুরে উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আলোচনা শেষে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, মাইলস্টোন স্কুলে একটি তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে নিহত ও আহতের তথ্য থাকছে। কেউ নিখোঁজ থাকলে সে তথ্য থাকছে। এখান থেকে তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। নিহত ও আহত পরিবারের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনগণের ভিড় নিয়ন্ত্রণের সময় সেনাবাহিনীর কর্তব্য পালনকালে কয়েকজন সেনাসদস্য কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর মারধরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
এ সময় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
এরআগে গতকাল সোমবার দুপুরে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর এফ-সেভেন বিজিআই যুদ্ধবিমান। আছড়ে পড়ে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরই ঘটে বিস্ফোরণ, মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে স্কুলের কয়েকটা রুমে। এতে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ অনেকে। নিহত হয়েছেন বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামও।