ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে অভিযানের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্যা হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিৎ দেভাল, চিফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দিভেদি, বিমানপ্রধান এয়ার মার্শাল এপি সিং এবং নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ ত্রিপাঠির সঙ্গে বৈঠকে মোদি এ নির্দেশ দেন।
বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতার ওপর পূর্ণ আস্থা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, জবাব দেওয়ার সময়, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং কোন প্রক্রিয়ায় জবাব দেওয়া হবে, এ বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।
গত সপ্তাহে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারি সূত্রের বরাতে হিন্দু বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকের একদিন আগে মোদি উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করলেন। পেহেলগামে হামলার পর এটি এ ধরনের দ্বিতীয় বৈঠক।
পেহেলগামে হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেয় ভারত। এরমধ্যে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল এবং সিন্দু জলচুক্তি প্রত্যাহার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর ধারণা করা হচ্ছে, এবার হয়ত ভারত সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করছে।
নাম প্রকাশ না করা এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাসের কথা বৈঠকে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।’
কাশ্মীরে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে ভারত। দুই দেশের সীমান্ত রেখায় প্রতিরাতেই গোলাগুলি হচ্ছে। ভারতের নেওয়া পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানও বেশ কিছু পাল্টা ব্যবস্থার নিয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়। এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারত। অবশ্য পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।