Home » আজ জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদ এর ১৩ম মৃত্যু বার্ষিক

আজ জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদ এর ১৩ম মৃত্যু বার্ষিক

শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকম:আজ ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম কূটনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের  নেতা, ভাটি বাংলার সিংহ পুরুষ প্রয়াত, জাতীয় নেতা আলহাজ্জ আব্দুস সামাদ আজাদ এর ১৩ম মৃত্যু বার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ও মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

 জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদ একটি নাম,একটি ইতিহাস। ব্রিটিশ আমলে ছাত্র রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি।
 পাকিস্তান আমলে তুখোড় রাজনীতিবিদ। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সঙ্গে অতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় জন্ম নেওয়া  ত্রিকালদর্শী এই রাজনীতিবিদ নিজ যোগ্যতায় মাটি থেকে মহিরুহে পরিণত হয়েছিলেন।দেশ ও জাতির সব ক্রান্তিলগ্নে ও গৌরবোজ্জ্বল অর্জনে রয়েছে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ।
 ভাষা সংগ্রামী,মহান মুক্তিযুদ্ধের কূটনৈতিক যোদ্ধা সামাদ আজাদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক অবিস্মরণীয় নাম। আপাদমস্তক জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদ হৃদতাপূর্ণ ব্যবহার দিয়ে মানুষকে সহজেই কাছে টেনে নিতে পারতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন ও আমুদে।
 তাঁর লড়াকু উল্থান,সংগ্রামী জীবন আর রাজনীতিতে অসমান্য অবদান তাঁকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে। আঞ্চলিকতা,সাম্প্রদায়িকতা,আত্মীয়করণ আর সংকীর্ণতা ছিল তাঁর চরিত্র বিরুদ্ধ। উদার মনের এই রাজনীতিবিদ দল এবং দলের বাইরেও ছিলেন  আস্থার প্রতিক। রাজনৈতিক কর্মীদের উজ্জিবক নেতা হিসেবে তিনি সকল সময়েই ছিলেন কর্মীবান্ধব।
প্রখর স্মৃতি শক্তির অধিকারী প্রয়াত এই জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রগতিশীল রাজনীতি বিকাশে আজীবন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মেধা,যোগ্যতা ও বিচক্ষণতা দিয়ে রাজনৈতিক জটিল আবহ কে সহজ করতে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অতুলনীয়।তাঁর জীবদ্দশায় তিনি দলীয় রাজনীতির সর্বোচ্চ ফোরামে থেকেও সবর্জন গ্রহণযোগ্য নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। রাজনীতির  বর্তমান বন্ধ্যা সময়ে তাঁর মতো একজন উদার গণতন্ত্রী ও সৃজনশীল রাজনীতিকের বড়ো বেশী প্রয়োজন ছিল। রাজনীতির অলিগলি আর ভাঙা-গড়ার খেলা খুব কাছ থেকে দেখা রাজনীতির এই বটবৃক্ষ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের সঙ্গে রাখতেন সুসম্পর্ক। দল -মত নির্বিশেষে প্রয়োজনে যাঁরাই কাছে গিয়েছেন সকলকেই তিনি উপযুক্ত মূল্যায়ন করতেন।জননেতা বলতে প্রকৃত অর্থে যা বুঝায়,তা-ই ছিলেন তিনি।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *