জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জে ফ্যাসিস্ট ও ডেভিলরা তাদের আশ্রয়কেন্দ্র বানিয়েছে। দ্রুত গোপালগঞ্জের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আমরা আবারও গোপালগঞ্জ যাব, এ যাওয়াই শেষ যাওয়া না। গোপালগঞ্জের মাটি এবং মানুষকে চিরতরে মুজিববাদ থেকে মুক্ত করে ছাড়ব।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্যকালে নাহিদ ইসলাম একথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় বিচার না হলে সারাদেশ থেকে লং মার্চ ঘোষণা করে গোপালগঞ্জের মাটি ও মানুষকে মুজিববাদ থেকে মুক্ত করে ছাড়ব।’
এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘কোনো বাধাতেই আমাদের জুলাই পদযাত্রা থেমে থাকবে না। ৩ আগস্টের আগেই সারাদেশে পদযাত্রা শেষ করা হবে। এরপর ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই সনদ ও ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।’
এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আপনারা যে দাবি তুলেছেন, আমারা দাবি পূরণে আপনাদের পাশে আছি, থাকব। দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ ও মুজিব বাদের রাজনীতি দেখতে চাই না। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা জঙ্গিবাদের শিক্ষা নিয়ে গতকাল গোপাগলঞ্জে শান্তিপূর্ন কর্মসূচিতে মরণঘাতী আক্রমণের চেষ্টা করেছে। তারা অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর গুলি চালিয়ে হামলা করেছে। তারপরও গোপালগঞ্জের মাটিতে মুজিববাদ, মুরদাবাদের স্লোগানকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি।’
দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বহর ফরিদপুর শহরে এসে পৌঁছে। দুপুর টার দিকে সার্কিট হাউস থেকে পদযাত্রা শুরু করে বেলা আড়াইটার দিকে সমাবেশ মঞ্চে এসে পৌঁছে। সমাবেশে শেষে এনসিপির পদযাত্রা বহরটি রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল জানান, ফরিদপুরে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে নিরাপত্তা দিতে বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। গতকাল গোপালগঞ্জের ঘটনায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী যৌথ নিরাপত্তা দেয়।