Main Menu

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু

ডেস্ক নিউজ : ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে মিয়ামনারের নির্যাতন আর নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আশ্রয় নিতে প্রবেশ করে রোহিঙ্গার। নানাভাবে তাদের সাহায্য করেছে বাংলাদেশসহ বিশ্বেও। রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে জাতিসংঘসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও চাপ দেয় মিয়ানমার সরকারকে। আর তাতে রাজিও হয় তারা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আসছে বর্ষা মৌসুমের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে, জানালেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে।

বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে বড় একটি শহর ইয়াংগুনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা জানান মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী।

তিনি জানান, শিগগিরই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে কাজ করছে নেইপিদো। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুর্দশার কারণে আসছে বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করা হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

মন্ত্রী আরো বলেন, যদি তাদের কাছে জাতীয় যাচাই কার্ড বা এনভিসি থাকে তাদেরকে পাঁচ মাসের মধ্যে জাতীয় নিবন্ধন কার্ড দেয়া হবে।

সম্প্রতি, তমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্ট দিয়ে স্বেচ্ছায় মিয়ানমার যান পাঁচ রোহিঙ্গা সদস্য। এদের মধ্যে তিন নারী, একজন পুরুষ ও একটি শিশু রয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তে পা রাখার পর দেশটির কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানিয়ে নিয়ে যান। তবে নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে ফিরিয়ে নেয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কিংবা বিজিবিকে কিছুই জানায়নি মিয়ানমার।

তবে ওই পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়ে মিডিয়াকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে দেশটি, এমন মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, ৫ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরত যাওয়া কোনোভাবেই প্রত্যাবাসন নয়।

গত বছরের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে নির্যাতন শুরু করলে ৭ লাখের বেশি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। বর্তমানে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় ১১ লাখের মতো।

Leave a comment






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *