Home » সুপার ওভারে জিতে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

সুপার ওভারে জিতে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

লক্ষ্যটা মাঝারি, শিরোপা জিততে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২৪২ রান। ঘরের মাঠে খেলছে, তাই সহজেই এই রান চেজ করার কথা তাদের। কিন্তু এই মাঝারি সংগ্রহ টপকাতে বেশ বেগ পেতে হয় স্বাগিতকদের। দলীয় ৭১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল তারা। অবশ্য পঞ্চম উইকেট জুটির দৃঢ়তায় অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ায় তারা। তবে মাঝখানে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচেটি শেষ পর্যন্ত টাই হয়। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।

লর্ডসে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ রান। জবাবে নিউজিল্যান্ড করেছে ১৫ রান। আবার ম্যাচটি টাই হয়। কিন্তু বাউন্ডারি ব্যবধানে ইংল্যান্ড জিতে যায় ম্যাচটি।সুপার ওভারের নিয়ম হচ্ছে, যদি দুই দল সমান রান করে তখন বাউন্ডারির হিসাব চলে আসে। মূল ম্যাচ ও সুপার ওভার মিলিয়ে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারবে তারাই জিতবে সুপার ওভার। অবিশ্বাস্য নাটকীয়তার পর বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেল ইংল্যান্ড। বেশি বাউন্ডারি মেরে প্রথমবার শিরোপার উল্লাস করে তারা।

তবে ম্যাচের নায়ক বেন স্টোকস ৮৪ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে খাদের কিনরা থেকে তুলে আনেন তিনি। যে কারণে ম্যাচটি টাই হয়।কিন্তু প্রথমবার বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার মিশনে আগে ব্যাট করতে নেমে অতটা সফল নয় নিউজিল্যান্ড। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ওভারে মাত্র ২৪১ রানে থামে কেন উইলিয়ামসনের দল।

অবশ্য আজ ভোরে বৃষ্টির কারণে মাঠের আউটফিল্ড ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়াম সন। কিন্তু টস জিতে আগে চাপমুক্ত ব্যাট করার ফায়দা তুলতে পারেননি কিউই ব্যাটসম্যানরা।

ইনিংসের শুরুতেই পরপর দুইবার কিউই ব্যাটসম্যানদের এলবির ফাঁদে ফেলতে জোরালো দাবি তোলেন ইংলিশ বোলাররা।  দুইবারই রিভিউ নিয়ে বেঁচে যায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সপ্তম ওভারে আর রক্ষা হলো না। দলকে চাপে ফেলে ১৯ রানে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার গাপটিল। বরাবরের মতো শিরোপা ছোঁয়ার মঞ্চেও ব্যর্থতার ছায়া হয়ে থাকলেন নিউজিল্যান্ড কিউই এই ওপেনার।

শুরুতেই বিপদে পড়া নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। প্রতিটি ম্যাচেই দলকে টেনে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন আসরজুড়ে। বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বও করেছেন। সঙ্গে দলের বাকিদের সহায়তা। কিন্তু আসরজুড়ে আলো ছড়ানো অধিনায়ক শিরোপা মঞ্চে পারলেন না দায়িত্ব নিতে। ২৩তম ওভারে এলবির ফাঁদে ফেলে কিউই অধিনায়ককে বিদায় করেন প্লাঙ্ককিট। ফেরার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান।

দুই উইকেটে হারানো পর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওপেনার হেনরি নিকোলস। তুলে নেন ক্যারিয়ারের নবম হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরির পর টিকলেন না তিনিও। ফিরেন ৫৫ রানে। তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফেরার পর বেশ চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরাও ব্যর্থ হন দলের হাল ধরতে। ব্যাটসম্যানদের আশা-যাওয়ার মিছিলে টম লাথাম করেন ৪৭ রান। এছাড়া বাকি ছয় ব্যাটসম্যান ২০’এর ঘরও পার করতে পারেননি। ইংলিশদের গতির কাছে রান তুলতেও হিমশিম খেতে হয় ব্যাটসম্যানদের। যার কারণে নির্ধারিত ওভারে ২৪১ রানের বেশি তুলতে পারেনি নিউজিরল্যান্ড।ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে সমান তিনটি করে উইকেট নেনে ক্রিস ওয়াকস এবং প্লাংঙ্কিট। একটি করে নেন আদিল রশিদ এবং জোফরা আর্চার।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *