Main Menu

সৌদি আরবের তেল ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল, অভিযোগ ইরানের

ইরানের সঙ্গে মার্কিন উত্তেজনার মধ্যে অপরিশোধিত তেল সরবরাহের নিরাপত্তাকে খর্ব করার চেষ্টার অংশ হিসেবেই এ হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে আরব আমিরাতের জলসীমার কাছে চারটি বাণিজ্যিক জাহাজ নাশকতামূলক হামলা হয়েছে।

যার দুটির স্বত্বাধিকারী সৌদি আরব। আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইরান থেকে একশ ১৫ কিলোমিটার দূরে ফুজাইরার কাছে এই চারটি জাহাজে নাশকতা চালানো হয়েছে। এসব বাণিজ্যিক জাহাজে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ছিলেন।

আরব আমিরাত আন্তর্জাতিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে ঘটনার তদন্ত করছে। আরব আমিরাত জানিয়েছে, বাণিজ্যিক জাহাজকে নাশকতার লক্ষ্যবস্তু বানানো এবং ক্রু সদস্যদের জীবন হুমকিতে পড়ার এই ঘটনা ভয়ঙ্কর।

এক্ষেত্রে এ ঘটনাকে সামুদ্রিক জলসীমায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করবে আরব আমিরাত। এদিকে ইরান এ হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তদন্তের দাবি করেছে।

পারস্য উপকূলে সৌদি আরবের তেল ট্যাংকারে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইরানের পার্লামেন্টারি মুখপাত্র বাহরুজ নেমাতি। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বাহরুজ নেমাতি বলেন, আমিরাত উপকূলে সৌদি জাহাজে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার মূলে রয়েছে ইসরাইল। সোমবার সৌদি আরব বলেছে, আরব আমিরাতের উপকূলে যে জাহাজে হামলা হয়েছে, তার মধ্যে দুটি তাদের।

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারিত্ব অবসানে জাতিসংঘকে এগিয়ে আসার আহবান ইরানের

জাতিসংঘকে ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বলেছে, বায়তুল মুকাদ্দাসসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারিত্ব অবসানে গোটা আন্তর্জাতিক সমাজ বিশেষকরে জাতিসংঘের দায়িত্ব রয়েছে। সবাইকে এ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

‘নাকবা দিবস’-কে সামনে রেখে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে। ফিলিস্তিনিরা প্রতি বছর ১৫ মে মাতৃভূমি হারানোর বার্ষিকীতে ‘নাকবা’ বা বিপর্যয় দিবস পালন করেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের এই দিনে অন্তত ৮ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত ইহুদিবাদী ইসরাইল এখন আঞ্চলিক সব সংকটের উৎস এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

দখলদারিত্ব শুরুর পর সাত দশকেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এখন দখলদারিত্ব, অপরাধযজ্ঞ ও আগ্রাসন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পূর্বপুরুষের ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

অধিকৃত অঞ্চলসহ গোটা ফিলিস্তিনে মুসলমান, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের অংশগ্রহণে গণভোট আয়োজন এবং এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নাকবা দিবসে আমেরিকার সমর্থনে ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড দখল করে অবৈধ ইহুদিবাদী ইসরাইলের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয় এবং যুদ্ধ, অপরাধযজ্ঞ ও দখলদারিত্বের মাধ্যমে এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.