শেষ দিনের মত বাশু’র বাটাভু কর্মশালা সম্পন্ন

বাশু প্রতিনিধি : গত ২৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বানানভিত্তিক সামাজিক সংগঠন বাশু (বানান শুদ্ধকারী) আয়োজিত ২ দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের কর্মশালা’ সম্পন্ন হয়েছে।
ব্যতিক্রমধর্মী কর্মশালাটির শুরু হয় বাশু’র প্রতিনিধি অধরা খান চৈতীর জন্মদিন পালনের মাধ্যমে। তারপর মূল কার্যক্রম:
প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হয়। কীভাবে অন্যকে বানান ভুল ঠিক করে দিতে হবে? বাংলা ব্যাকরণের নিয়ম মনে রাখার কৌশল, ণ চেনার উপায়, ভুল/ভূল বিভ্রাটদূরীকরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও I had had my meal বাক্যটি দিয়ে ১২টি Tens( Present, Past, Future) বুঝানো হয়। প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ এবং তার বানান, প্রচলিত ভুল বানান, বাংলিশ লেখার ক্ষেত্রে বাশু’র প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরা হয় কর্মশালায়।
তার পাশাপাশি Shuvra Ahmed এর মাধ্যমে নামের বানান ভুল বা বিভ্রাট নিয়ে বাশু’র Gender Difference বিষয়টিও উপস্থাপিত হয়।
কর্মশালার শেষ ভাগে ‘ মাঠে আছি’ বাক্যটি সবাইকে বাংরেজিতে লিখতে দেওয়া হয় এবং বাক্য সম্পর্কিত ভুল গুলোর শুদ্ধরূপ তুলে ধরা হয়।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি মো: সোলাইমান, সোশ্যাল চেইন ফর ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং বইবন্ধুর উদ্যোক্তা মো: মহিউদ্দিন তোহা, তরুণ লেখক জাহিদ হাসান রাতুল, প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন এবং স্বপ্ন পাঠশালার শিক্ষিকা তাহমিনা আক্তার রাখী। অন্যান্যদের মধ্যে রাফিউল করিম মাসুম, মনোয়ার হোসেন মামুন, রিশাদ আহমেদ দূর্জয় এবং মো: ওয়াসিম রানা।
বাশুর শব্দযোদ্ধাদের মধ্যে অধরা খান চৈতী, রাহুল বিশ্বাস, তৌফিকুজ্জামান সিয়াম, আব্দুল কাদের, রবিনুজ্জামান রবিন, কেএম সামিউল ইসলাম তাভিন, আরমান খান উপিস্থিত ছিলেন।
সোশ্যাল চেইন ফর ডেভেলপমেন্ট এবং বইবন্ধু’র উদ্যোক্তা মো: মহিউদ্দিন তোহা বাশু’র কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, “বাশু সম্পর্কে সবার জানা উচিত, তাদের কার্যক্রম যথেষ্ট কার্যকর বর্তমান প্রজন্মের জন্য। আমাদের অজান্তে আমরা বাংলাকে প্রতিনিয়ত অবহেলা করে আসছি।
আমি নিজেকে শুধরে নিবো। বাশুর এই কার্যক্রমকে আমি স্বাগত জানাই।”
তরুণ লেখক জাহিদ হাসান রাতুল বলেন, “বানান নিয়ে প্রায়সময় দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতাম উ-কার নাকি ঊ-কার বা ন নাকি ণ? বাশুর এই কর্মশালায় খুব সহজে এই বিষয়টিকে উপস্থাপন করা হয়। এখন আশা করি আর কোন ভুল হবেনা। বাশু শুরু থেকেই ভুল ধরার পাশাপাশি ইনবক্সে ঠিক করে নেবার আহবান জানাচ্ছে এবং বানান ভুল দেখে হাসি-তামাশা থেকে বিরত থাকার প্রচারণা করছে। যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাশুর পাশে আমি সবসময় থাকবো।”
কর্মশালার শেষ ধাপে ‘বাংলায় প্রতিষ্ঠানের নামকরণ চাই’ দাবিতে বাশুর ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ থেকে চলমান কার্যক্রম: জনরায় এবং গণস্বাক্ষর সংগ্রহ পরিচালিত হয়। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি দুই ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ ২০১৮ তারিখে বাশু’র প্রথম দিনের শব্দযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a comment
Related News

বাবার সামনে সন্তানকে গুলি করে মারল ডাকাত দল
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারি সড়কের হিমছড়ি ঢালায় সশস্ত্র ডাকাতের গুলিতে বাবার সামনেই এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছে।বিস্তারিত

কেন শব্দ অবমাননা আইন দরকার?
আচ্ছা বানানকে এতটা গুরুত্ব দিতে বলছি কেন! আসলেই কি শুদ্ধ বানানে শব্দ লিখলে কোন লাভবিস্তারিত