1. [email protected] : .com : sk .com
  2. [email protected] : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. [email protected] : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. [email protected] : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. [email protected] : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. [email protected] : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. [email protected] : Md Sh : Md Sh
  8. [email protected] : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. [email protected] : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. [email protected] : Abdur Rasid : Abdur Rasid
শোভন-রাব্বানীর ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে
       
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

শোভন-রাব্বানীর ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক: কয়েকটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ওপর ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এ দুই পদে নতুন নেতৃত্ব খুঁজছেন। শেষ পর্যন্ত শোভন-রাব্বানী পদে থাকতে পারবেন, না নতুন কেউ তাদের স্থলাভিষিক্ত হবেনÑ এ নিয়ে নানামুখী আলোচনা রয়েছে। আজ শনিবার এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে একাধিক সূত্র বলছে।

আজ সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিষয়, উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা, রংপুর-৩ উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। পাশাপাশি ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিষয়েও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

গত সপ্তাহেই গণভবনে দলের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তাদের জায়গায় নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে আওয়ামী লীগের চার নেতাকে দায়িত্বও দেন তিনি। বিষয়টি জানার পর প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে নানা চেষ্টা করেন

ওই দুই নেতা। কিন্তু সাক্ষাৎ পাননি। গণভবনে প্রবেশে তাদের স্থায়ী পাসও সাময়িক স্থগিত করা হয়। এ অবস্থায় গত বুধবার গোলাম রাব্বানী প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি লেখেন। এতে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সভাপতি ও নিজের পক্ষে ক্ষমা চান রাব্বানী। ওই চিঠি রাব্বানী আওয়ামী লীগের এক নেতার হাতে দিয়েছেন।

আজ কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ গতকাল শুক্রবার আমাদের সময়কে বলেন, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও রংপুর-৩ উপনির্বাচনের বিষয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হবে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের কক্ষে মাদকদ্রব্যের সন্ধান, বিতর্কিত ব্যক্তিদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেওয়া, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন, সম্মেলনের এক বছর পরও একাধিক শাখায় কমিটি দিতে না পারা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে ভিসির কাছে চাঁদা দাবি, নিয়ম ভেঙে সিলেটে বিমানবন্দরের রানওয়েতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেশ, সিনিয়র নেতাদের অসম্মান করা, দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, মধুর ক্যান্টিনে নিয়মিত না যাওয়া, সাংবাদিকদের অসম্মান করাসহ নানা ধরনের অভিযোগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছার পর তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর পর থেকে শোভন-রাব্বানী থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতাদের বড় একটি অংশ।

ছাত্রলীগকে দেখভাল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের যে চার নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তারা হলেনÑ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। জানা গেছে, কী সিদ্ধান্ত আসছে এ বিষয়ে জানতে এ চার নেতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন শোভন-রাব্বানী। তবে তাদের কারও কাছ থেকেই কোনো আপডেট তথ্য পাচ্ছেন না তারা।

ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন আমাদের সময়কে বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। তিনি যখন যা সিদ্ধান্ত দেবেন, আমি তা মেনে নিতে বাধ্য। আমি তার তথা আওয়ামী লীগের আদর্শের রাজনীতি করি। সেটা করতে গিয়ে তিনি যদি মনে করেন আমাকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেবেন, সেখানেও আমার আপত্তি নেই। আমি মনে করি ছাত্রলীগ করতে হলে সভাপতি পদেই থাকতে হবেÑ এমন কোনো কথা নেই। প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে শোভন বলেন, এ চিঠি আমি দেইনি; গোলাম রাব্বানী দিয়েছেন।

জানতে চাইলে আবদুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, ছাত্রলীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার তিনি নেবেন।

তিনি আরও বলেন, চিঠিতে আমি নেত্রীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে প্রতিটি অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছি। তবে চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে কিনা বা তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন কিনা তা এখনো জানতে পারেননি রাব্বানী।

যেসব অভিযোগ এসেছে এর কোনোটার সত্যতা প্রমাণ করা যাবে না বলে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে গুরুতর যে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে তার একটাও সত্য নয়। প্রতিটি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত করার মতো তথ্য আমার কাছে আছে। আসলে আমাদের বিরুদ্ধে একটা সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র চলছে। তদন্তের ভিত্তিতে সব সত্যই বেরিয়ে আসবে এবং আমার দৃঢ়বিশ্বাস আমাদের নেতৃত্ব, আমাদের অভিভাবক (শেখ হাসিনা) আমাদের প্রতি সদয় হবেন।

ওই চিঠিতে গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, ‘আমাদের দায়িত্বশীল আচরণের ব্যর্থতা ও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতির বাইরেও দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, প্রিয় নেত্রী, দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভেঙে আপনি পছন্দ করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন বলে আমরা একটি বিশেষ মহলের চক্ষুশূল। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে, প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। সুকৌশলে আপনার এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের কান ভারী করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

গত বছরের ১১ ও ১২ মে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়। এরপর ৩১ জুলাই শোভনকে সভাপতি এবং রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেও মনোনীত করেন তিনি।

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.