আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১১ কিলোমিটার। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কম থাকলেও সকাল থেকেই হিমেল হাওয়া বইতে থাকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে দেখা মেলে ঝলমলে রোদের। এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য তৈরি হচ্ছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে।
আজ সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় মোড়ানো সকালে উত্তরের দিক থেকে বইছে ঠান্ডা বাতাস। রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। কেউ প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছেন, কেউ বা হাঁটতে বের হয়েছেন শরীর গরম রাখতে।
সদর উপজেলার চাকলাহাট এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, রাত থেকে ঠান্ডা হাওয়া বইছে। সকালে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে হাত জমে যাচ্ছিল। তবে রোদ উঠলে একটু আরাম লাগে।
একই এলাকার শিক্ষার্থী লাকী আক্তার বলেন, সকালে স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছিল, গরম কাপড় পরে বের হয়েছি। কুয়াশা না থাকলেও বাতাসে খুব ঠান্ডা অনুভব হচ্ছিল।
গলেহাহাট এলাকার দিনমজুর নুর ইসলাম বলেন, এই ক’দিন ধরেই সকাল-বিকেল ঠান্ডা পড়ছে। রোদ থাকলে কাজ করতে ভালো লাগে, কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়।
এদিকে, জেলার বিভিন্নস্থানে ইতোমধ্যে অনেকে গরম কাপড় বের করে ব্যবহার শুরু করেছেন। হাটবাজারে বিক্রেতারা কম্বল, সোয়েটার, মাফলারসহ শীতবস্ত্র বিক্রি শুরু করেছেন। শহরের রাস্তায় দেখা গেছে, দোকান ও অফিসে গরম পানীয় বিক্রি বেড়েছে।
তালমা এলাকার বাসিন্দা ফাহিম ইসলাম বলেন, এই সময়টায় সকাল-বিকেল কাজ করতে কষ্ট হয়। তবে এটাই পঞ্চগড়ের আসল সৌন্দর্য ঠান্ডা হাওয়া আর কুয়াশার সকাল।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, উত্তর দিক থেকে হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করছে। এর প্রভাবে তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে। আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। চলতি মাসের শেষের দিকে জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, দিনে সূর্যের তেজ থাকলেও রাতে দ্রুত তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে। এতে দিন ও রাতের পার্থক্য বাড়ায় সকাল-সন্ধ্যায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে।