1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ কী বলছে আইন, কী রয়েছে দুই দেশের চুক্তিতে        
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ কী বলছে আইন, কী রয়েছে দুই দেশের চুক্তিতে

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তিনি বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, হাসিনাকে ফেরাতে চেয়ে ভারতের কাছে আবার চিঠি দেবেন তাঁরা। তবে বিচারের সম্মুখীন হতে ভারত তাঁকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে কি না- তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী আদালতের রায়ে প্রত্যর্পণ করানোর মতো অপরাধ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এক দেশ অপর দেশের হাতে তুলে দেবে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেই হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে ‘কূটনৈতিক চিঠি’ (ভার্বাল নোট) পাঠিয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারও করেছিল ভারত। দেশটির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের চিঠি তাঁরা পেয়েছেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য এখনই করা যাবে না বলে জানান তিনি। তখন ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, আগে ওই চিঠির বৈধতা যাচাই করতে চায় নয়াদিল্লি। কোনো দেশের অন্তর্বর্তী সরকার (যা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়) অন্য রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারের কাছে কোনো রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

চলতি বছর অক্টোবর মাসে হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে ফের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় ভারত। দেশটির বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি জানান, এটির সঙ্গে আইনি বিষয় জড়িয়ে আছে। উভয় দেশের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, এটি একটি বিচার বিভাগীয় এবং আইনি প্রক্রিয়া। এর জন্য দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা এবং পরামর্শের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও একসঙ্গে কাজ করার জন্য তৈরি।

বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি শর্তের জন্যই ভারত হাসিনাকে ফেরাতে বাধ্য নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক অনিন্দ্য জ্যোতি মজুমদার বলেন, ভারত হাসিনাকে ফেরাতে বাধ্য নয়। কারণ, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত চুক্তি থাকলেও সেখানে এমন কিছু শর্ত রয়েছে, যার জন্য নয়াদিল্লি সেটি মানতে বাধ্য নয়। প্রত্যর্পণ চুক্তির ওই শর্তের কথা বলে হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ভারত বাধ্য নয় বলে জানান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ীও। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে চুক্তি রয়েছে। কিন্তু সোমবারের রায়ের পর বাংলাদেশে হাসিনার প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ওই চুক্তিতে থাকা নিয়ম অনুসারেই ভারত হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য নয়।

এ প্রসঙ্গে আইনগত দিকটি ব্যাখ্যা করে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, হাসিনা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু দেশে না থাকার জন্য হাসিনাকে যদি তা করতে বাধা দেওয়া হয়, তবে তা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। একই সঙ্গে তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতিলিপি পাঠানো হলেও ভারত তা মানতে বাধ্য নয়। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, যদি কোনো দেশে কারও জীবনের ঝুঁকি থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া দেশ তাঁকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য নয়। হাসিনার ক্ষেত্রেও এই আইনের কথা তুলে ধরতে পারে ভারত।

২০১৩ সালে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তখন কেন্দ্রে মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। অন্য দিকে ঢাকার মসনদে শেখ হাসিনা। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিলÑ আদালতের রায়ে প্রত্যর্পণ করানোর মতো অপরাধ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এক দেশ অপর দেশের হাতে তুলে দেবে। এ বিষয়ে সবিস্তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছিলÑ ন্যূনতম এক বছরের জেল হতে পারে, এমন অপরাধ করে থাকলে সেই ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করা হবে। এও বলা হয়েছিল যে, সেই অপরাধকে চুক্তি স্বাক্ষর করা দুই দেশেই শাস্তিযোগ্য হতে হবে। অপরাধে প্ররোচণা দেওয়া বা সাহায্য করা ব্যক্তিকেও প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে বলে জানানো হয়। ২০১৬ সালে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করতে চুক্তি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত চুক্তিতে বলা হয়Ñ কারও নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেই তাঁকে প্রত্যর্পণ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে অপরাধের প্রমাণস্বরূপ কোনো তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে হবে না। হাসিনার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সংশোধিত চুক্তি অনুসারেই তাঁকে প্রত্যর্পণ করার আর্জি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

চুক্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছেÑ অপরাধটির যদি রাজনৈতিক চরিত্র থাকে, তা হলে প্রত্যর্পণ করা হবে না। খুন, গুম করা এবং অত্যাচার (যেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটিতে হাসিনা অভিযুক্ত) রাজনৈতিক অপরাধের তালিকায় রাখা হবে না বলেও চুক্তিতে বলা হয়েছে। চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, বিচারের নেপথ্যে যদি সৎ কোনো উদ্দেশ্য না থাকে, তা হলে ভারত বা বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করবে না। হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করার জন্য এই যুক্তিগুলো খাড়া করতে পারে ভারত। হাসিনা নিজেও বারবারই তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। বিচারের নামে প্রহসনের অভিযোগও তুলেছেন।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গা-ঢাকা দেওয়া অপরাধীদের নাগাল পেতেই প্রত্যর্পণ চুক্তি করেছিল ভারত এবং বাংলাদেশ। ওই সময় (২০১৩ সাল) উত্তর-পূর্ব ভারতে অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পরিকল্পনা নিয়ে বেশ কয়েকজন উগ্রপন্থি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল। আবার বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্যগুলোয় জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবির সদস্যরা ঘাঁটি গেড়েছে বলে খবর মেলে। উভয় দেশে আশ্রয় নেওয়া অপরাধীদের প্রত্যর্পণ করার জন্যই এই চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত এবং বাংলাদেশ।

বস্তুত বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পতন হয় তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা এবং আশ্রয় নেন ভারতে। তারপর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.