Home » ৩০ বছর আগেই এপিটাফ লিখেছিলেন

৩০ বছর আগেই এপিটাফ লিখেছিলেন

ডেস্ক রিপোর্ট:  নিজের এপিটাফ নিজেই লিখে রেখেছিলেন ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত করুণানিধি। ৩০ বছর আগের ওই এপিটাফটি লেখা হয়েছিল তার পুত্র এমকে স্ট্যালিনকে উদ্দেশ্য করে। তামিল ভাষায় লেখা সেই গভীর ও বিষণ্ণ লাইনগুলোর বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, ‘কোনও বিশ্রাম ছাড়াই কাজ করে গিয়েছিলেন যিনি, তিনিই এখানে বিশ্রাম নিচ্ছেন।”

টুইটারে করুণানিধির পুত্র এমকে স্টালিন বাবাকে নিয়ে লিখেছেন, ‘৩০ বছর আগে তুমি চেয়েছিলে, তোমার সমাধিতে লেখা থাকবে, বিশ্রাম ছাড়াই যিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তিনি শায়িত রয়েছেন এখানে।”

১৯৫৭ সাল থেকে নির্বাচনে লড়েছেন করুণানিধি। একবারের জন্যও হারেননি। ১৩ বারের বিধায়ক এবং তামিলনাড়ুর পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী। ৭ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দীর্ঘ অসুস্থতার পর চেন্নাইয়ের কাবেরী হাসপাতালে ৯৪ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বুধবার চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে নিজের রাজনৈতিক গুরু আন্নাদুরাইয়ের পাশেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়।

করুণানিধি’র শেষকৃত্যের স্থান নিয়ে অবশ্য বিতর্ক তৈরি হয়। তার দল ডিএমকে চেয়েছিল, তাকে সমাধিস্থ করা হোক চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে। কিন্তু তামিল নাড়ুর এআইএডিএমকে সরকার সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। বিষয়টি আদালতে গড়ায়। দুই দফা শুনানির পর মাদ্রাজ হাইকোর্ট মেরিনা বিচেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।”

দ্রাবিড় রাজনীতির এক বর্ণময় ও সংগ্রামী অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো চোখে কালো চশমা ও কাঁধে হলুদ শাল রেখে এগিয়ে চলা এই রাজনৈতিক নেতা ও সাংস্কৃতিক কর্মীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। আন্নাদুরাইয়ের সঙ্গেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী জয়ললিতার সমাধির পাশেও শায়িত হলেন তিনি।”

এর আগে বুধবার সকালে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছুটে যান চেন্নাইয়ে। তামিল নাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিল সুপারস্টার রজনীকান্তসহ অনেকে। কফিনে ফুল দিয়ে মাথা ঠেকিয়ে শ্রদ্ধা জানান মোদি।”

এদিন সকালে চেন্নাইয়ের রাজাজি হল প্রাঙ্গণে করুণানিধির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় ভিড়ের মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও অনেকে।’

এই রাজনীতিকের চিরপ্রস্থানে টুইটারে মোদি লিখেছেন, করুণানিধির অগণিত ভক্ত ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। গোটা দেশ, বিশেষ করে তামিল নাড়ু এই মহান নেতার অভাব বোধ করবে। আঞ্চলিক রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি বড় নাম করুণানিধি। তামিল নাড়ুর মানুষের কথা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে সফল হয়েছিলেন তিনি। বাংলা ট্রিবিউন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *