সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যাচ্ছে তাই মন্তব্য করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর আজাদ খান। বুধবার দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে মাউশি ডিজি জানান, ‘ফেসবুক আমার অফিস না। যা ইচ্ছে তা কমেন্ট করলে আইনের আশ্রয় নেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’
এদিকে মাউশি ডিজির এমন হুঁশিয়ারিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন নেটিজেনরা। তারা বলছেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অফিসিয়াল তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করেন। সেখানে মন্তব্য করলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা।
আমি বৈষম্যহীন ফেসবুক আইডি থেকে প্রফেসর আজাদ খানের পোস্টে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘ফেসবুকে অফিসিয়াল স্ট্যাটাস দিতে পারবেন কিন্তু কমেন্ট করা যাবে না। আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিছু দিনের মধ্যে। সরকারকে বেকায়দা ফেলার জন্য বেকারদের নিয়ে তামাশা করে আন্দোলন সৃষ্টি করতে চাইছেন।’
সিরাজুল ইসলাম সুমন নামে একজন লিখেছেন, ‘পাগলামো কথাবার্তা বললে মানুষ বাজে কমেন্ট করবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি যোগ্য চেয়ারে বসেছেন যোগ্যলোক, ভাল কথা। কিন্তু উল্টাপাল্টা কথা বলবেন না। প্রদর্শক নিয়োগ পরীক্ষায় কোন দুর্নীতি হয়নি। দুদক প্রামাণও পায়নি। সুতরাং রেজাল্ট আমাদের অধিকার। আমি নিজেই তো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার মত হাজার-হাজার শিক্ষার্থী আছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের। যারা এই প্রদর্শকের রেজাল্ট প্রত্যাশী। আর আপনি মনগড়া কথা বলেন। আবার কমেন্টে আপনি অন্যদের তুই সম্বোধন করে কথা বলেছেন যা আপনার মত মানুষের কাছ থেকে আশা করা যায়না বা কাম্য নয়।’
মো. ইব্রাহিম নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘কেউ যদি অনিয়ম করে থাকে তাকে বাদ দিয়ে রেজাল্ট প্রকাশ করুন স্যার। আমি দুটি পদে ভাইবা দিয়েছি। আশায় ছিলাম অন্তত যদি একটা চাকরি হয় তাহলে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো । আমার সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ। এখন ইচ্ছে করলেও সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারবো না।’
মো. কামরুজ্জামান লিখেছেন, ‘ধৈর্য্য ধরুন স্যার। আপনি অনেক উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। মান সম্মানের ভয়ে অনেক কর্মকর্তা ফেসবুক ব্যবহার থেকে দুরে থাকতেন। চাকুরী পাওয়ার পূর্বেই যারা এধরনের ঔদ্ধত্য কমেন্ট করতে পারেন চাকুরী পাওয়ার পর তারা কী করবেন? ফ্রেন্ড লিস্টে সীমিত করতে পারেন স্যার।’
প্রতিনিধি