ফটকে বড় করে লেখা আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধার বাসভবন। নামফলকের এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। একপর্যায়ে গতকাল শনিবার রাতে নামফলকটি খুলে ফেলেন নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ‘সহযোদ্ধা’ দাবি করা ইলিয়াস হোসেন নামের ওই ব্যক্তি।
ইলিয়াস হোসেনের (৫২) বাড়ি পটুয়াখালী পৌর শহরের কাজীপাড়া এলাকায়। তাঁর বাবার নাম আব্দুস সত্তার মজুমদার। ইলিয়াস একজন ব্যবসায়ী।
ইলিয়াস হোসেন বলেন, তিনি ও তাঁর মেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আন্দোলনে সফলতার পর ভালো লাগা থেকেই বাসার সামনে নামফলকটি (সাইনবোর্ড) লাগিয়েছেন। গত ৫ আগস্টের পর এই সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। সাইনবোর্ড টাঙানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়ার কারণে তা তিনি খুলে ফেলেছেন। তাঁর দাবি, তিনিসহ তাঁর উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া মেয়ে গত ৩, ৪ ও ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পটুয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ইলিয়াসের প্রতিবেশী ও স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, যাঁরা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁরা এমন সাইনবোর্ড লাগালে সেটি মানা যায়। কিন্তু যাঁদের কিছু হয়নি, তাঁরা এভাবে সাইনবোর্ড লিখে ভবনের সামনে ঝোলালে তা দৃষ্টিকটু মনে হয়।