Main Menu

বিশ্বনাথে মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মর উদ্যোগে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

 

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত সন্তানদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মর উদ্যোগে পিঠা উৎসব আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ মার্চ বুধবার সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের আল-মুছিম স্কুল এন্ড কলেজে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম সভাপতি সাংবাদিক কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি লন্ডন রিজিওনের প্রেসিডেন্ট, জেএমজি কার্গো ইউ.কে এন্ড ইউরোপ এবং নলেজ হারবার স্কুল এন্ড কলেজ সিলেট এর চেয়ারম্যান মনির আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের প্রযোজক এবং সিলেট ভয়েস ডটকম এর প্রকাশক রোটারিয়ান সেলীনা চৌধুরী।
আল-মুছিম স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আব্দুল হামিদের পরিচালনায় ও প্রবীণ সালিশ ব্যক্তিত্ব মজিরুল ইসলাম চৌধুরী তকবির মিয়া ও আল মুছিম স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আতিকুর রহমান লিটনের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে সুচিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নলেজ হারবার স্কুল এন্ড কলেজ সিলেট এর প্রিন্সিপাল অধ্যাপক কবি নাজমুল আনসারী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী মোঃ নজির আলী, লেখক ও সাহিত্য সংগঠক কবি লুৎফুর রহমান তারেক, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিনুল হক দুদু, সৌদি আরব প্রবাসী সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী দুলাল আহমদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহবায়ক সাজিদুর রহমান সোহেল, আল-মুছিম স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ মানিক মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনির আহমেদ বলেন, জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ নয়মাস জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে আমাদেরকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই শহীদ হয়েছেন। স্বাধীন এই দেশ উপহার দেয়ায় জাতি তাদের কাছে চিরঋনী। শুধু তাই নয়, বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মও তাদের কাছে ঋনী। এ ঋন শোধ করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আবহমান গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য পিঠা উৎসবের মতো ব্যতিক্রমী আয়োজন করায় মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আপনাদের সৃজনশীল সকল কাজে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে রোটারিয়ান সেলীনা চৌধুরী বলেন, আমাদের গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যকে ধারন করেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। বাজার থেকে রংচং ও ক্যামিক্যালযুক্ত পিঠা কিনে না এনে নিজের হাতে তৈরী স্বাস্থ্যসম্মত পিঠা প্রস্তুত করে সকলকে নিয়ে একসাথে খাবার আনন্দটাই আলাদা। আর এতে উৎসাহ যোগাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম। এ ধরনের আরও আয়োজন দরকার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক কবি নাজমুল আনসারী বলেন বিগত তেইশ বছরে মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মর অর্জন অনেক। বিভিন্ন জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ দাবী দাওয়া আদায়ের আন্দোলনসহ সৃজনশীল কার্যক্রমের পাশাপাশি তারা শেকড়ের সন্ধানে কাজ করে নজর কেড়েছেন সকলের। গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য আজকের উৎসবমুখর ব্যতিক্রম আয়োজন তারই প্রমাণ।
সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও গুণীজনদের অভিনন্দন জানান এবং ভবিষ্যত কার্যক্রমে সকল মহলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি শাহ আব্দুস সালাম। শুরুতে পবিত্র কালামে পাক থেকে তিলাওয়াত করেন বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী নাইমা আক্তার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজমল হোসেন নয়ন, মনজুর হোসেন, মাওলানা হাসান আহমদ, তাজমিন আক্তার, সুমি বেগম, জলি বেগম, সিপা বেগম, তামান্না আক্তার, রুনা বেগম, ফাহিমা আক্তার, ইরন মিয়া, মিজানুর রহমানসহ এলাকার বিশিষ্টজনরা।
অনুষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে এ আয়োজনে বিশটি ষ্টল অংশ নিয়ে চমলক্ষ ষ্টল প্রথম, রসের হাড়ি ষ্টল দ্বিতীয় এবং না খাইলে পস্তাইবেন ষ্টল ৩য় স্থান অর্জন করে। বিজয়ীদের ক্রেস্ট নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী এবং সকল অংশগ্রহণকারী দলকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.