Home » কেন লম্বা দাড়ি হলে টেররিস্ট, কৃষ্ণাঙ্গ হলে চোর? প্রশ্ন ব্র্যাথওয়েটের

কেন লম্বা দাড়ি হলে টেররিস্ট, কৃষ্ণাঙ্গ হলে চোর? প্রশ্ন ব্র্যাথওয়েটের

গত মে মাসের শেষের দিকে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান-আমেরিকান সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় জর্জ ফ্লয়েডকে হাঁটুতে পিষে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য পুলিশ। ওই নির্মম হত্যার ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্ব।প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের খেলোয়াড়রাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করছেন তারা। এমনকি করোনার পর মাঠে ইউরোপের ফুটবল লিগ ফেরার পর খেলোয়াড়দের হাঁটু গেড়ে বসে সেই প্রতিবাদও করতে দেখা গেছে।

আগামী সপ্তাহ থেকে সাউদাম্পটনে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ওই সিরিজে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ লেখা জার্সি পড়ে খেলবেন উইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা এমন হলে, বর্ণবাদকে হটানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অল-রাউন্ডার কার্লোস ব্র্যাথওয়েট।

তিনি বলেন, ‘হাঁটু গেড়ে বসে বা ব্যাজ পরে বা জার্সিতে লিখে প্রতিবাদ করলে কোন লাভ হবে না। আমাদের সবার মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। আমার কাছে গোটা ব্যাপারটাই লোক দেখানো বলে মনে হয়। এসব করলে হয়তো কিছুদিনের জন্য একটু আলোচনা হবে, প্রতিবাদ হবে, কিন্তু আসলেই কিছুই হবে না। পরিবর্তন আনতে হলে গোটা সমাজব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গীতে পরিবর্তন আনতে হবে।’

ব্র্যাথওয়েট আরও বলেন, ‘আমরা যখন প্লেনে বা কোথায় যাই, তখন কোনো লম্বা দাড়িওয়ালা লোককে দেখলে তখন কেন তাকে সন্ত্রাসবাদী ভেবে বসি? এছাড়া কোনো কৃষ্ণাঙ্গ দেখলে আমাদের কেন মনে হয় যে সে চোর? এটা অনেক বিস্তৃৃত বিষয়। পুরো সমাজকে এ নিয়ে সচেতন করতে হবে।’

তবে ইংল্যান্ড দলে জোফরা আর্চারের উপস্থিতি বর্ণবাদ কমে আসার বড় উদাহরণ বলে মনে করেন ব্র্যাথওয়েট। তিনি বলেন, ‘আমি অনেকবার শুনেছি, ইংল্যান্ডে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারদের দলে নেয়া হয় না। তাদের প্রতি মানসিক অত্যাচার করা হয়। কিন্তু আমরা সকলেই দেখেছি, বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে ইংল্যান্ড দলে সুযোগ পেয়ে দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন আর্চার। তার সাফল্যে এখন আরও অনেকই খেলতে আসবে।’

ব্র্যাথওয়েটের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার মাইকেল হোল্ডিং বলেছিলেন, শুধু আইন করে এই ‘ভাইরাস’কে সমাজ থেকে দূর করা যাবে না। বর্ণবাদ হটাতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো খুবই প্রয়োজন।

সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *