Home » কয়েক দশক বাদে ফের চাঁদে যাবে মানুষ, তৈরি হচ্ছে মহাকাশযান

কয়েক দশক বাদে ফের চাঁদে যাবে মানুষ, তৈরি হচ্ছে মহাকাশযান

নাসা নয়। এবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে তিনটি বেসরকারি সংস্থা। নাসার পক্ষ থেকে এই তিনটি সংস্থাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এদের তৈরি লুনার ল্যান্ডারেই চাঁদে যাবে মানুষ। বেশ কয়েক দশক মানুষের পা পড়েনি চাঁদে। এবার ২০২৪ সালে চাঁদে মানুষ পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নাসার এই কাজের মূল কারিগর ওই তিনটি বেসরকারি সংস্থা। ইতিমধ্যেই স্পেসক্রাফট বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। মানুষ পাঠানোর এই চন্দ্রাভিযান যদি সফল হয়, তবে সেই অভিজ্ঞতা মঙ্গল অভিযানের জন্য কাজে লাগবে বলে মনে করছে নাসা।

নাসার মিশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রিডেনস্টাইন জানিয়েছেন যে তিনটি কোম্পানিকে চন্দ্রযান তৈরির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে সেগুলি বেশ আলাদা ভাবনা নিয়ে প্রস্তাব রাখে। কোম্পানিগুলি হল, ক্যালিফোর্ণিয়ার হোথ্রোনের কোম্পানি স্পেস এক্স, যার নেতৃত্বে রয়েছে ইলোন মার্ক। দ্বিতীয়টি হল ওয়াশিংটনের কেন্টের ব্লু অরিজিন, যার মালিক জেফ বেজোস। তৃতীয় কোম্পানিটি হল অ্যালাবামার হান্টসভিলের ডায়নেটিকস।

মোট ৯৬৭ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে নাসা এই তিনটি কোম্পানির সঙ্গে। ১০ মাসের চুক্তি হয়েছে বলে খবর। এর পরের ১০ মাস ধরে নাসার সঙ্গে চন্দ্রাভিযান নিয়ে কাজ করবে কোম্পানিগুলি। যে কোম্পানির চন্দ্রযানের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি বলে মনে করবে নাসা, সেই চন্দ্রযানের ওপরেই কাজ চলবে। ২০২৪ সালের মধ্যেই এই প্রজেক্ট শেষ করা হবে বলে খবর।

নাসার নিজের প্রজেক্ট মেগারকেটস নিয়েএখনও কাজ চলছে। এই মেগারকেটসই চাঁদে মানুষ পৌঁছে দেবে। উল্লেখ্য এই তিনটি কোম্পানির সঙ্গেই প্রতিযোগিতায় নেমেছিল আরও দুটি কোম্পানি। সূত্রের খবর ভিভাস ও বোয়িং নামের এই কোম্পানি দুটি প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠেনি।

জানা গিয়েছে, ডায়নেটিকসের প্রস্তাব ও লুনার ল্যান্ডারের খসড়া সবথেকে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে নাসার। এদের তৈরি খসড়ায় ল্যান্ডারটি বেশ নীচু, যাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে মনে করছে নাসা।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *