Main Menu

প্রাথমিকে প্যানেল প্রত্যাশি জাকিরের খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রী বরাবর

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
প্রথমেই আমার মুজিব শতবর্ষের মুজিবীয় সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন। আসসালামু আলাইকুম ও মুজিবীয় শুভেচ্ছা। জানি আজ বিশ্বের উন্নত দেশ গুলো সহ সারা বিশ্ব যেখানে করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাস মহামারী আতংকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে কিন্তু আপনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশকে করোনা মোকাবেলায় সহায়তা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপনার নির্দেশ মান্য করেই আমি আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সুনামগঞ্জ জেলা থেকেই “হোম কোয়ারান্টাইনে” অবস্থান করছি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সুনামগঞ্জ জেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা যেমন: অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও অবকাঠামোগত প্রতিকূলতা থাকা সত্তে¡ও মা-বাবার মুখে হাসি ফুটানো তথা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজেকে অংশীদার করতে বহু কষ্ট করে পড়ালেখা করেছি। ভেবেছিলাম এইবার চাকুরিটা হয়ে যাবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার চাকুরিটা হয়নি। যার ফলে আমি আমার দু:খীনি মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে পারিনি। আমি হতে পারিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে একজন অংশীদার। আপনি ছাড়া আর কোথায়ও তো আমাদের দাবি করার জায়গা নেই কেননা আপনিই তো হলেন আমাদের ১৬ কোটি মানুষের শেষ ভরসা, শেষ আশ্রয়স্থল। তাই আজ আপনার কাছেই লিখছি যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার গতিতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার হাত ধরেই বাংলাদেশ আজ মধ্য আয়ের দেশ ও উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী আজ পালন করা হয়েছে সেই জাতির পিতারই শততম জন্ম বার্ষিকী “মুজিব বর্ষ”। মুজিব বর্ষে তাই আপনাকে লিখছি। কারণ মমতাময়ী মা আপনিই তো বলেছিলেন “মুজিব বর্ষে কেউ বেকার থাকবে না” একমাত্র আপনিই বুঝবেন বেকারদের আত্মচিৎকারের কথা। কারণ আপনিই তো “মাদার অব হিউম্যানিটি”। ২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আমরা ২৪ লক্ষ ৫ জন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে ৫৫,২৯৫ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত হয়েছিলাম। তার মধ্য থেকে চূরান্তভাবে ১৮,১৪৭ জন সুপারিশ প্রাপ্ত হন। কিন্তু আমরা ৩৭,১৪৮ জন মৌখিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হই। গত ৪ বছর যাবৎ রীট জনিত জটিলতায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বন্ধ থাকায় এই ৪ বছরে মাত্র একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আমরা পেয়েছি। মমতাময়ী মা প্রতি বছর যদি প্রাথমিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতো আর সেখান থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার করে শিক্ষক নিয়োগ পেত। তাহলে, এই ৪ বছরে ৪০ হাজার প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ হতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালের হাই কোর্টের রীট জনিত জটিলতার দায়-ভার কি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার শিক্ষিত অসহায় ৩৭ হাজার বেকারের মাথায় যাবে? এজন্যই মমতাময়ী মা আপনার কাছে লিখছি আমরা অনেকেই পৌচে গেছি “ডেটলাইন ৩০” নামক সীমান্তবর্তী জোনে আবার অনেকেরই ৩০ পার হয়ে গেছে। যার ফলে চাকুরির আবেদনের সুযোগ আর আমাদের নেই। মমতাময়ী মা আপনিই তো জানেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে বেকারত্ব দূর করার জন্য একই সাথে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় কে জাতীয়করণ করেছিলেন যা ছিল বেকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার এক যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ। যার ফলে প্রায় দেড় লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছিল। তাছাড়া, ২০১০, ২০১২, ২০১৩ সালে প্যানেল হয়েছে এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালেও প্যানেলের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মমতাময়ী মা তাহলে এখন কেন প্যানেলে নিয়োগ নয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার অমর বাণী “মুজিব বর্ষে কেউ বেকার থাকবে না”। সেই আলোকে এই মুজিব বর্ষে আমাদের ৩৭ হাজার বেকারকে একই সাথে প্যানেলের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালের জাতীয়কারণকৃত ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দিয়ে মুজিব বর্ষে মুজিব কর্মের পুনরাবৃত্তিসহ জাতির জনকের আদর্শকে অক্ষন্ন রাখার বিনীত প্রার্থনা জানাচ্ছি।

সুনামগঞ্জ জেলা সহ ৩৭ হাজার প্যানেল প্রত্যাশীদের পক্ষে-

জাকির আহমেদ
সভাপতি
প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশি কমিটি।
সুনামগঞ্জ জেলা শাখা

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.