1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
দোষী হলে ছেলের শাস্তি চান আকাশের মা-বাবা        
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন

দোষী হলে ছেলের শাস্তি চান আকাশের মা-বাবা

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৯

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে জয়পুরহাটের দোগাছী গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে আকাশ হোসেনও রয়েছেন।এ বিষয়ে তার মা নাজমা বেগম বলেন, ‘আকাশ যদি অপরাধী হয়, তা হলে তার শাস্তি হোক। আর যদি অপরাধী না হয়, তা হলে তদন্তসাপেক্ষে খুব দ্রুত তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক।’

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দরিদ্র ভ্যানচালক আতিকুল ইসলামের তিন সন্তানের মধ্যে আকাশ সবার বড়। দোগাছী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে গোল্ডেন প্লাসে পাস করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। জয়পুরহাট সরকারি কলেজ থেকে ২০১৬ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এ প্লাস পেয়ে পাস করার পরই আকাশের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন নিয়ে দেখা দেয় সংশয়। ভ্যানচালক বাবা পরিবারের সদস্যদের জন্য দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড়েই যেখানে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে মেধাবী এই ছেলেকে ঢাকায় পাঠিয়ে পড়ালেখা করানো একেবারেই অসম্ভব ছিল।

শত বাধা উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও বুয়েটে পড়ার সুযোগ পান আকাশ। শেষে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাতব্য সংগঠন ‘মানুষ মানুষের জন্য’ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে ও টিউশনি করে লেখাপড়া করে আসছিলেন তিনি।

আকাশের মেঘ ঠেলে পরিবারকে স্বপ্ন দেখান-একদিন ভালো ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ছোট ভাই-বোন ও মা-বাবার দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেবেন। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস, তৃতীয় বর্ষ না পেরোতেই আকাশ আজ তারই সহপাঠী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে আকাশের মা নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার সন্তান যদি সত্যিই এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকে, তা হলে তার বিচার হোক। আর যদি না থাকে, তা হলে তদন্তসাপেক্ষে খুব দ্রুত আমার কলিজার টুকরাকে আমার বুকে যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’ হঠাৎ যেন এক অজানা পাথর এসে চেপেছে বাবা আতিকুলের বুকে।

রাজ্যের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তিনি বলেন, ‘ছেলেকে বুয়েটে পাটায়ছিলাম ইঞ্জিনিয়ার বানাতে। নিজে না খায়েও তার জন্য পত্যেক মাসে ট্যাকা পাঠায়চি। হামাক (আমার) ছেলে যে আরেকজন ছেলেক মারবে, তা ভাববার পাচ্চি না। ওক (আকাশ) বারবার কছি (বলছি)-বাবারে তুই রাজনীতি করিস না, মারামারি করিস না। হামাকোরে কষ্টের সংসার, পড়াশুনা শ্যাষ করে ভালো চাকরি করা লাগবি। এখন স্বপ্নপূরণ তো দূরের কথা, জীবনটাই বাঁচানো দায় হয়া পড়ছে।’

এ ঘটনায় ভারাক্রান্ত প্রতিবেশী বকুল হোসেন, তারেক মিয়া, ডলি ও মারুফাসহ অনেকেই। নিজেদের সন্তানকে ভালো করে পড়ালেখা করতে বলার আগে বারবারই তারা আকাশকে উদাহারণ দিতেন। প্রতিবেশীরা জানান, আকাশ দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া একটুকরো নক্ষত্র। সে কখনো হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না বলেই মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আকাশ আমার ইউনিয়নের গর্ব। সে প্রচণ্ড মেধাবী। তার বিষয়ে ভালোভাবে তদন্ত কামনা করছি।

 

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.