Home » কৃতজ্ঞতা জানাতে ওসমানী হাসপাতালে ড. জাফর ইকবাল

কৃতজ্ঞতা জানাতে ওসমানী হাসপাতালে ড. জাফর ইকবাল

ডেস্ক নিউজ : হামলার শিকার হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলেন জনপ্রিয় লেখক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, তবে এবার তিনি চিকিৎসার জন্য যাননি।

গত ৩ মার্চ বিকেলে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হওয়ার পর তার সফল অস্ত্রোপচার এবং তার প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বস্ত্রীক ওই হাসপাতালে যান ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। দুপুরে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল হাসপাতালে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুল হক। এরপর তার কক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ ও চা চক্রে মিলিত হন জাফর ইকবাল। এ সময় তিনি ওসমানী হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রশংসা করে বলেন, সিএমএইচের চিকিৎসকরাও ওসমানী হাসপাতালের নিউরো সার্জনদের নিখুঁত অস্ত্রোপচারের প্রশংসা করেছেন।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে সেদিনের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা বিষয়ে বক্তব্য দেন নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তৌফিক এলাহী, এনেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান সব্যসাচী রায়, হাসপাতালের উপ-পরিচালক দেবপদ রায়, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এম এ আজিজ, সহকারী পরিচালক (অর্থ) আলাউদ্দিন আহমদ, সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক অরুণ কুমার বৈষ্ণব, এনেসথেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক রিচার্ড ডি কস্টা, নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক মিছবাহ উদ্দিন অপু প্রমুখ। এ সময় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক, ওসমানী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল মালেক খান, পরিচালকের পিএ মো. রুহুল আমিন, নার্সিং তত্ত্বাবধায়ক শিউলি আক্তার, নার্সিং কর্মকর্তা পরিমল বণিক, নার্সিং কর্মকর্তা ইসরাইল আলী ও অরবিন্দু দাস উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ বিকেলেশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথা, হাত ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে ফয়জুল হাসান নামে এক তরুণ। হামলায় গুরুতর আহত ড. জাফর ইকবালকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে বিমান বাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। ওই সময় হামলাকারীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ ১১ দিন সেখানে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১৪ মার্চ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সরাসরি প্রিয় ক্যাম্পাস শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরেন জাফর ইকবাল। এর একদিন পর চিকিৎসকদের পরামর্শে অধ্যাপক জাফর ইকবাল দীর্ঘদিন ঢাকায় বিশ্রামে ছিলেন। গত ২ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেরেন তিনি।

 

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *