সিলেট নগরীর জিতু মিয়া পয়েন্টের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় মহিলা ডাক্তার নিহতের ১১ দিন পর ট্রাক চালক কাদির কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মৌলভী বাজারের কুলাউড়া উপজেলা থেকে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এস আই শিবলুর নেতৃত্বে এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.জিয়াউল হক।
তিনি বলেন আজ সকাল ১০ টার দিকে কুলাউড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঈদুল আজহার পরদিন অর্থাৎ ৮ জুন সকাল ১০ টার দিকে নগরের কাজির বাজার জিতু মিয়া পয়েন্ট থেকে রিকশাযোগে নিজের কর্মস্থল সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবার সময় বেপরোয়া গতির ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হোন ডা. রহিমা আক্তার জেসি।
তিনি উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ভিকটিম ডা. রহিমা আক্তার জেসি নগরীর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারের বাসিন্দা আবু নছরের মেয়ে । ঘটনার পরপরই ঘাতক কাদির পালিয়ে যায়। বিআরটিএ এবং থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে সিলেট ড-১১-১৭৯৯ ট্রাকটির চালক কাদিরের লাইসেন্সের মেয়াদ অনেক আগে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ট্রাকটি ২০২২ সালের জানুয়ারী মাসে ট্যাক্স, ফিটনেস ও রুট পারমিটের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ৮ জুন নিহতের পিতা আবু নছর বাদি হয়ে অজ্ঞাত ট্রাক ড্রাইভার কে আসামি করে সড়ক ও পরিবহন আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা ( নং-৮(৬) ২৫) দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ এর একটি দল তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান ঘটনার পর ট্রাক টি আটক করে থানায় রাখা হয়েছে।
ঈদের ছুটিতে দীর্ঘ বন্ধের কারণে ট্রাকটিকে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা করতে পারেননি আমরা ট্রাকটি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আদালত এবং বিআরটিএর নিকট আবেদন জমা দিয়েছি বি আর টি এ গাড়িটি পরীক্ষার পর জানা যাবে ট্রাকটি ওইদিন ব্রেক ফেল করে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কিনা।