মার্কিন নৌবাহিনীর নতুন ও বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড ভূমধ্যসাগরে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগির তা ইরানের দিকে যাত্রা করবে। খবর দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএনের।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তার ঘাঁটিগুলো সক্রিয় করেছে। এ ছাড়া বাইরে থেকে যুদ্ধাস্ত্র এনে এই অঞ্চলে সামরিক সরঞ্জাম পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। এরই সর্বশেষ আপডেট হলো, ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড-ও মোতায়েন হতে চলেছে।
সিএনএন-এর সিনিয়র প্রতিবেদক জ্যাকারি কোহেন বুধবার (১৮ জুন) মার্কিন সূত্রের বরাতে জানান, আমেরিকার ফ্ল্যাগশিপ ১,১০০ ফুট পারমাণবিক শক্তিচালিত রণতরী ইউএসএস ফোর্ড আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ইউরোপে পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি এই অঞ্চলে মোতায়েন তৃতীয় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী হতে চলেছে।
সূত্র অনুসারে, ১৩ বিলিয়ন ডলারের এই রণতরী সম্ভবত ভূমধ্যসাগরে গত বছরই মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে এর স্থানান্তর বিশেষ নজর কাড়ছে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাত ঘিরে বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় জেরাল্ড আর. ফোর্ড মোতায়েন মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন শক্তি প্রদশর্ন হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই পারস্য উপসাগরে থাকা ইউএসএস কার্ল ভিনসন এবং এই সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে পাঠানোর ঘোষণা করা ইউএসএস নিমিৎজের সাথে যোগ দেবে ফোর্ড।
এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট মার্কিন নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে জানায়, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষম ধ্বংসকারী যুদ্ধজাহাজ USS Thomas Hudner (ইউএসএস টমাস হাডনার)-কে পশ্চিম ভূমধ্যসাগর থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজকেও অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে হোয়াইট হাউসের অনুরোধে তা প্রস্তুত থাকতে পারে।