Main Menu

অস্ট্রেলিয়ার বল টেম্পারিং সমালোচনায় সুজন ও তাসকিন

শুদ্ধবার্তা ডেস্ক- অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বল টেম্পারিং (বল বিকৃতি) কাণ্ডে ক্রিকেট বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন ন্যাক্কারজনক কাজে নেতৃত্ব দেওয়া অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন ও পেস তারকা তাসকিন আহমেদও এতে অবাক।

সুজনের কথায়, ‘আমরা সবসময় ফেয়ার (সঠিক) ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের এমন (টেম্পারিং করার) বিশেষজ্ঞও নেই বলতে গেলে। বাংলাদেশে পাকিস্তানি অনেক খেলোয়াড় লিগ খেলতে আসতো। ঢাকা লিগে এটা অনেক হতো। অনেক অভিযোগ ছিল এটা নিয়ে। ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখবেন কোনো বোলার প্রথম ৫ ওভারে ৪০ রান দিত, পরে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিত। বল রিভার্স হতো এই (বল বিকৃতি) কারণে। পাকিস্তানিরা যখনই আসত এটা হতো। ধরে নিতাম যে তারা আসলে এটা জানে বা করে।’

‘কিন্তু এখন যেটা হলো আসলে খুবই দুঃখজনক। এতো বড় বড় দল, তাদের কেন এসব করতে হবে। ছোট দল বা আমরা করলে কি হতো জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের কাউকে আমি দেখিনি আসলে।’-যোগ করেন সুজন।

প্রিমিয়ার লিগেও বলের আকৃতির পরিবর্তন করে নেওয়ার সুযোগ কম বলে মনে করেন সুজন, ‘প্রিমিয়ার লিগে এখন সুযোগটা কম। আগে তিনজন (একাদশে বিদেশি খেলোয়াড়) খেলতো, এখন একজন খেলে। বিপিএলে কিছু ক্ষেত্রে হচ্ছে না যে তা না। হয়তোবা হচ্ছে আমরা বুঝতে পারি না। এটা যারা করে তারা অনেক ট্যাক্টফুলি করে, অনেক পন্থা অবলম্বন করে। এটা ফেয়ার না। কিন্তু অনেক লিজেন্ড প্লেয়াররা এটা করেছে, কাজেই এটাকে খেলার অংশই বলতে হবে এখন।’

তাসকিনের চোখে, বল টেম্পারিং করা মোটেও ঠিক কাজ নয়। তরুণদের এ থেকে বিরত থাকা উচিৎ বলে মনে করেন এই স্পিডস্টার, ‘এটা ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের কাছে এটা আশা করা যায় না। সব ক্রিকেটারের বিরত থাকা উচিৎ।’

‘সত্যি বলতে বল যখন একদিকে রাফ (খারাপ) হয়, তখন সেটা রিভার্স হয়। আন্তর্জাতিক ম্যাচে অনেক ক্যামেরার মধ্যে এটা করা কঠিন। এটা ঘরোয়া ক্রিকেটেও করা উচিত নয়। এটা ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী, বিশেষ করে তরুণ খেলোয়াড়দের বেশি বিরত থাকা উচিৎ।’-যোগ করেন তাসকিন।দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে (২৪ মার্চ) অজি ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বল বিকৃতি করার দৃশ্য ধরা পড়ে টিভি ক্যামেরায়। পরে জানা যায়, বল টেম্পারিংয়ের নেতৃত্ব দেন সিনিয়র ক্রিকেটাররাই। সংবাদ সম্মেলনে তা স্বীকারও করেন স্মিথ।

এ নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড়ই ওঠে। লজ্জায় ডোবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটীয় ঐতিহ্য। হতাশা আর ক্ষোভ উগরে দেন অজিদের সাবেক গ্রেটরা। বাদ যাননি দেশটির প্রধানমন্ত্রীও। ম্যাচের মাঝপথে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় স্মিথকে। এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করে আইসিসি। আরও কঠিন শাস্তি আরোপ করতে পারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। কলঙ্কের ম্যাচে বাজেভাবেই হেরেছে সফরকারীরা। ৩২২ রানের দাপুটে জয়ে চার ম্যাচ সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে প্রোটিয়ারা। জোহানেসবার্গে চতুর্থ ও শেষ টেস্ট ৩০ মার্চ থেকে। যেটি মিস করবেন বিতর্কিত-সমালোচিত স্মিথ।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.