1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
হিন্দু সমাজ বর্তমান অবনতি থেকে উত্তরণের অন্তরায়
       
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

হিন্দু সমাজ বর্তমান অবনতি থেকে উত্তরণের অন্তরায়

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর, ২০১৮

সুমন ঘোষ :: পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে যে ধারণা, তা থেকে যদি হিন্দুধর্মের অস্তিত্ব খুঁজে নেওয়া যায়, তবে হিন্দু ধর্মের অস্তিত্ব অনেক অনেক আগের। সময়ে সাথে সাথে রাষ্ট্রতন্ত্রের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু সামাজিকভাবে যে সাম্য নীতি তা হিন্দু ধর্মে সমাজে নাম মাত্র থাকলেও এর প্রভাব জনজীবনে বিন্দু মাত্র নেই। আর এই সাম্যের প্রভাব হিন্দু ধর্মে নেই বলেই বর্ণবৈষম্য বা বর্ণপ্রথা হিন্দু ধর্মের উত্তরণের জন্য এক বিরাট বাধা। হিন্দু শাসনে যখন প্রত্যয়মান ছিল তারপর মুঘল, পাঠান, বিটিশ, পাকিস্তান এমনকি বর্তমান বাংলাদেশেও হিন্দু ধর্মের এই বর্ণপ্রথা এতোটাই প্রত্যয়মান যে কোনো শাসনকর্তা একে মুছে ফেলে সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা করেননি হিন্দু সমাজতন্ত্রে, এমন কি সনাতন জাগরণে কোনো উচ্চ হৃদয়বান এগিয়ে আসেননি বা এসেও সাফল্যতা অর্জন করতে পারেননি।

কলিযুগের অবতার শ্রী চৈতন্য গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু ছিলেন এমনি এক শ্রেষ্ঠ, ধর্ম পুর্ণউজ্জীবিত কারক যিনি সমাজের মধ্যে বর্ণবৈষম্যের উর্ধ্বে উঠে যে উদারতা দেখিয়ে ছিলেন তা যদি বর্তমান সমাজে প্রত্যয়মান থাকে বা থাকতো, হিন্দু সমাজের অস্তিত্ব রক্ষার জাগরণে এখনকার মানব সমাজ সংঘবদ্ধ থাকতো। কেবল মাত্র হিন্দু ধর্মে বিশ্বের সকল জীবের মঙ্গল কামনায় মহাযজ্ঞ করার মতো উদার সমাজ স্বধর্মের বিভিন্ন গুড়ামি ও বংশপরম্পরায় নীতি ভেঙে যোগ্যতার ভিত্তিতে সামাজিক উপাধি গুলো ক্রমবিকাশ হতো।
হিন্দু সমাজের এই অদৃশ্য ধর্মীয়গ্রন্থগুলো এককালে ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে যা থেকে সমাজ শাসকের শক্তি ও এর কিছু আমিত্বের প্রভাব বিস্তারের ফলে সমাজটি সাম্যে মৃত্যুবরণ হয়।
সামাজিক অর্থনৈতিক অবকাঠামো এর উপর ভিত্তি করেও অদক্ষ, অশিক্ষিত, ধর্মীয় শিক্ষা সংস্কৃতিগত কারণে মানুষ গুলো বৈষম্যের শিকার হয়েছে।

হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন মতবাদ বিভিন্ন ভাবধারা অনেকটা বড় বটগাছের শাখা প্রশাখার শিকড় গুলোর মতো বিস্তার করেছে। যা একটি ছেড়ে আরেকটিকে অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু এতো মতোবাদ ও ভাবধারার সাথে যে যোগ্যসূত্র আছে তা কেউ প্রত্যয়মান বা প্রস্ফুটিত না হয়ে অন্ধকার গুহার মধ্যে ছুটে চলছে যার জন্য হঠাত্ কোনো মতবাদ কিংবা ভিন্ন ধারার মতোবাদের সাথে সাংঘর্ষিক হলে কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান না থাকায় এই সাংঘর্ষিকতা বহন করে চলেছে যুগ যুগ ধরে।
হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন মতবাদ ও ভাবধার যে সম্পর্কের মধ্যে যে সম্প্রীতি বা সমস্যা নিয়ে সমাধানে কেউ ভাবেন না।
কিন্তু এই বিভিন্ন মতবাদ ও ভাবধারার মধ্যে সাংঘর্ষিকতা তা হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ না করে বিচ্ছিন্ন করতে বিরাট একটি উপাদান।

পৃথিবীতে জনসমষ্টি, অর্থনীতি, সংঘবদ্ধ ও ভুখন্ডে টিকে থাকতে হলে, কিন্তু শুধু জনসমষ্টি, শুধু অর্থনীতি, শুধু সংঘবদ্ধতা বা শুধু ভূখণ্ড দিয়ে হবে না এর জন্য সবকিছুর অস্তিত্ব প্রত্যয়মান হতে হবে।

ধর্মীয়জ্ঞান ধারণা যা কিছু আছে না কেন, এটি একটি প্রশ্ন বিভিন্ন ধর্মজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে একেক জনের কাছ থেকে একেক রকমের ব্যাখ্যা আসছে। যা হিন্দু ঐক্যে বিরাট বাধা।
এর জন্য সংঘবদ্ধ ও সুনির্দিষ্ট ব্যাখা দেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান তেমন নাই বলেও চলে, যা কিছু আছে তা শুধু নিজেদের মতবাদ ও ভাবধারা নিয়ে ব্যস্ত। যাকে বলে ব্যষ্টিক, কিন্তু হিন্দু সমাজের অবনতি থেকে উত্তরণে সামগ্রিক বিশ্লেষন গবেষণার ও শাসনতন্ত্রের পরিবর্তন যে ধর্মীয়গ্রন্থের মধ্যে যে অপসংস্কৃতি প্রবেশ করেছে যা বের করা প্রয়োজন ।

এই বর্ণ প্রথা মূলত বিভক্ত করা হয়েছে কর্মের ভিত্তিতে। আধুনিক সংস্কারক হিন্দুরা যদিও এখন এসব জাত-পাত মানেন না, কিন্তু মধ্যবিত্ত ও মধ্য-শিক্ষিত সমাজে এর প্রভাব এখনো রয়ে গেছে।সাম্প্রদায়িকতাই এ ধর্মে বর্ণভেদের একমাত্র কারণ। নৈতিক আচরণভেদ, গায়ের রঙ ও পেশার ভিত্তিতে হিন্দু ধর্মে বর্ণভেদের সৃষ্টি হয়েছে। উচুবর্ণের হিন্দুরা তাদের দৃষ্টিতে যারা নিচুবর্ণ তাদেরকে নিয়ে প্রতিনিয়ত তুচ্ছ তাচ্ছিল, হাসি তামাশা করে এবং নিম্ন বর্ণদের বিভিন্ন নামে সম্বোধন করে থাকে। যেমন-মুচি, মেথর, পোদ, চাড়াল ইত্যাদি। এছাড়া উচ্চ ও নিম্ন বর্ণের হিন্দুর হাতের রান্না কিংবা একসাথে কখনও খেতে পারবেনা। কাপড় পরিধানের ক্ষেত্রেও বর্ণবাদ প্রথায় ব্রাহ্মণদের জন্য সাদা, ক্ষত্রিয়দের জন্য লাল, বৈশ্যদের জন্য হলুদ আর শুদ্রদের জন্য কালো রঙয়ের কাপড় পরিধান নির্ধারিত ছিল। ধর্মীয় নেতৃত্ব প্রদান করত ব্রাহ্মণগণ, রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিত ক্ষত্রিয়গণ আর বৈশ্যগণ ক্ষমতায় একেবার হীন আর শুদ্রগণ ছিল তাদের সকলের সেবক। এবং পৈতা পরিধান করা ব্রাক্ষণ ছাড়া আর কারও জন্য অনুমোদিত ছিল না। ব্রাহ্মনরা আরো প্রচার করে যে, ব্রাহ্মনদের সৃষ্টি হয়েছে ভগবানের মস্তক থেকে, ক্ষৈত্রীয়র সৃষ্টি হয়েছে ভগবানের বুক থেকে, বৈশ্যের সৃষ্টি হয়েছে ভগবানের পেট থেকে আর শুদ্রের সৃষ্টি হয়েছে ভগবানের পা থেকে। সুতরাং, ব্রাহ্মনরা উচু জাতী আর শুদ্র সর্বনীচু জাতী।
সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে এখনও বর্ণ প্রথা প্রবল।এদেশে এখনও ব্রাহ্মণের ছেলের বিয়ের জন্য ব্রাহ্মণ মেয়ে, দত্ত ছেলের জন্য দত্ত মেয়ে, কর্মকারের ছেলের বিয়ের জন্য কর্মকারের মেয়ে লাগবেই। কারণ অন্য জাতের মেয়ে হলে নাকি আবার জাতকূল ধুয়ে এক হয়ে যায়।এমনই অনেক হিন্দু পরিবার আছে,যেখানে অভিভাবকরা তাদের ছেলেদের/মেয়েদের বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলেও বিয়ে দিতে পারছে না শুধুমাত্র একই বর্ণের সুযোগ্য ছেলে/মেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না বলে। দুঃখের কথা কি বলব, অনেকে বিয়ে করতে পারছেনা সুযোগ্য ভালো মেয়ে পাওয়া সত্যেও।তার কারন হচ্ছে জাতের সাথে জাতের মিল হচ্ছে না।তাহলে আপনারাই বুঝোন এই জাত প্রথাটা কতটা ভাইরাস হিসাবে এখনো আমাদের সমাজে যুগের পর যুগ টিকে আছে।বর্ণ প্রথার প্রভাব সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে কেমন তার সম্পর্কে আশা করি কিছু হলেও ধারনা পেলেন।এখন মূল কথায় আসা যাক-
প্রথমেই বলে নিই, হিন্দু সমাজে চারটি বর্ণ প্রচলিত আছে। যেমন- ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়,বৈশ্য ও শূদ্র। আমরা মনে করি যে, একজন ব্রাহ্মণের পুত্রই ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়ের পুত্রই ক্ষত্রিয়, বৈশ্যের পুত্রই বৈশ্য, শূদ্রের পুত্রই শূদ্র। আসলে ঘটনাটি সঠিক নয়।

বেদে স্পষ্ট বলা আছে, যার যার কার্যকারণে তার বর্ণ নির্ধারণ করবে। এবং সকলেই সকলের উপর নির্ভরশীল। আসুন এবার দেখি সনাতন ধর্মে বর্ণ প্রথা সম্পর্কে ‘বেদ’ এ কি বলা আছে ঋগবেদ
১.১১৩.৬
“একজন জ্ঞানের উচ্চ পথে(ব্রাহ্মন) ,অপরজন বীরত্বের গৌরবে(ক্ষত্রিয়) , একজন তার নির্দিষ্ট পেশাভিত্তিক(বৈশ্য), আরেকজন সেবার পরিশ্রমে(শূদ্র)। সকলেই তার ইচ্ছামাফিক পেশায়,সকলের জন্যই ঈশ্বর জাগ্রত। ঋগবেদ ৯.১১২.১
একেকজনের কর্মক্ষমতা ও আধ্যাত্মিকতা একেক রকম আর সে অনুসারে কেউ ব্রাক্ষ্মন কেউ ক্ষত্রিয় কেউ বেশ্য কেউ শূদ্র। ব্রাক্ষ্মন কে? ঋগবেদ ৭.১০৩.৮
যে ঈশ্বরের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত, অহিংস,সত্য,নিষ্ঠাবান, সুশৃঙ্খল,বেদ প্রচারকারী, বেদ জ্ঞানী সে ব্রাহ্মন।
ক্ষত্রিয় কে?
ঋগবেদ ১০.৬৬.৮
দৃঢ়ভাবে আচার পালনকারী, সত্কর্মের দ্বারা শূদ্ধ, রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন,অহিংস,ঈশ্বর সাধক,সত্যের ধারক ন্যায়পরায়ন,বিদ্বেষমুক্ত ধর্মযোদ্ধা,অসত্ এর বিনাশকারী সে ক্ষত্রিয়।
বৈশ্য কে? অথর্ববেদ ৩.১৫.১
“দক্ষ ব্যবসায়ী দানশীল চাকুরীরত এবং চাকুরী প্রদানকারী।”
শূদ্র কে?
ঋগবেদ ১০.৯৪.১১
“যে অদম্য,পরিশ্রমী, ­ অক্লান্ত জরা যাকে সহজে গ্রাস করতে পারেনা,লোভমুক্ত ­ কষ্টসহিষ্ণু সেই শূদ্র।” এজন্যেই পবিত্র বেদ ঘোষনা করেছে সাম্যের বানী-“অজ্যেষ্ঠাসো অকনিষ্ঠাসো অকনিষ্ঠাস এতে সং ভ্রাতারো তাবৃধুঃ সৌভগায় যুবা পিতা স্বপা রুদ্র এযাং সুদুঘা পুশ্নিঃ সুদিনা মরুদ্ভঃ।”(ঋগবেদ ৫.৬০.৫)
অর্থাৎ,কর্ম ও গুনভেদে কেউ ব্রাহ্মন,কেউ ক্ষত্রিয়,কেউ বৈশ্য,কেউ শুদ্র।তাদের মধ্যে কেহ বড় নয় কেহ ছোট নয়।ইহারা ভাই ভাই । সৌভাগ্য লাভের জন্য ইহারা প্রযতœ করে ।ইহাদের পিতা তরুন শুভকর্ম ঈশ্বর এবং জননীরুপ প্রকৃতি।পুরুষার্থী সন্তানই সৌভাগ্য প্রাপ্ত হন।
বেদের কোথাও বলা নেই এক বর্ণের মানুষ আরেক বর্ণের পার্থক্য।কিন্তু উচ্চ বর্ণের মানুষরা নীচু বর্ণের মানুষদের মানুষ মনে করে কিনা সন্দেহ।
আশা করি বর্ণ প্রথা সম্পর্কে সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীদের আদি অন্ত পরিষ্কার করতে পেরেছি।আর এখনও যদি কেও ভাবেন সনাতন ধর্মে ব্রাহ্মনরাই উচুস্তরের তাহলে আপনাকে আমার আর বুঝানোর ক্ষমতা নাই।কারন ব্রাহ্মন সেই হওয়ার যোগ্য রাখে যে পাণ্ডিত দিক দিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে।হোক সে বৈশ্য,ক্ষত্রিয় অথবা শূদ্র।বর্তমান সমাজে যেহেতু শিক্ষা ও পেশা সবার জন্য উন্মুক্ত তাই এ প্রথা আজ অপপ্রথায় পরিণত হয়েছে।বরং সমাজে বর্ণ ভেদের কারনে বিভাজন দৃশ্যমান, অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দারিয়েছে।এ কারনে চূড়ান্ত রুপে এ প্রথাকে বর্জন করাই মঙ্গলজনক। তবেই হিন্দু সমাজ উজ্জীবিত হবে।
আসুন এবার দেখে আমাদের দেশে সর্বোচ্চ আইন মানে সংবিধান মানুষের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে কি বলে, ৩য় অধ্যায় ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী এবং রাষ্ট্র কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না।
এখন মৌলিক অধিকারের এই আইনকে যদি ব্যাখ্যা করা হয় তবে রাষ্ট্র যেমন প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ করবে কেবল ধর্ম,গোষ্ঠী,বর্ণ,নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করবে না। এই গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব শুধু রাষ্ট্রের নয় রাষ্ট্র ছাড়া ও রাষ্ট্রে অবস্থান রত সকল Organization এবং রাষ্ট্রের বাহিরে অবস্থিত দূতাবাসগুলোদেও বর্তায়। রাষ্ট্রের অবস্থান রত সকল Organization এর মধ্যে হিন্দু সমাজের পরিচালকা শ্রেণীকেও বুঝায় যারা হিন্দুসমাজের কর্তা যিনি রাষ্ট্রেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ধর্ম,গোষ্ঠী,বর্ণ,নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না। কিন্ত হিন্দুধর্মের মধ্যে অদৃশ্য বর্ণ বা বর্ণবৈষম্যই হিন্দুদের Discrimination এর বড় কারণ ।
প্রত্যেক হিন্দু ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সচেতনতামূলক শিক্ষা ও বাস্তবমূখি শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।
বর্তমানে দৈনিক জীবনে যে সমস্যার মধ্য দিয়ে হিন্দু সমাজ যাচ্ছে এভাবেই যদি যেতে থাকে তবে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে প্রথিবীর প্রাচীনতম সনাতন ধর্ম ।
তবে আশার বিষয় হল এখন হিন্দু সমাজে অনেকটাই জেগে উঠেছে যার জন্য বিভিন্ন সময় এর চিত্রের মাধ্যমে প্রদর্শনী হয়, পাশাপাশি অনেক প্রতিষ্ঠান সংঘবদ্ধতার জন্য কাজ করছে।
এখন সমাজের প্রত্যেকটিই হিন্দুধর্মের যে কোনো ধর্মীয়গ্রন্থ পড়ার বা ধর্মীয়জ্ঞানের অধিকার রাখে।

আশা করি এর দ্বারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে হিন্দু সমাজ অচিরেই সংঘবদ্ধ হবে।
এখন যে যে বৃহত্ সমস্যা তা সমাধানের জন্য সকলের ঐক্যের বিকল্প নেই।

লেখক: বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ সোসাইটি, সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট বিভাগ।

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.