1. [email protected] : .com : sk .com
  2. [email protected] : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. [email protected] : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. [email protected] : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. [email protected] : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. [email protected] : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. [email protected] : Md Sh : Md Sh
  8. [email protected] : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. [email protected] : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. [email protected] : Abdur Rasid : Abdur Rasid
না ফেরার দেশে মুক্তামনি
       
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন

না ফেরার দেশে মুক্তামনি

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:

সকাল ৮টার কিছুক্ষণ আগে মুক্তামনির মৃত্যুর খবরে পুরো কামারবায়সা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। নির্বাক হয়ে পড়েছেন মুক্তামনির মা। থামছে না বাবা ইব্রাহিম হোসেনের চোখের জল। হারানোর বেদনায় কাতর ছোট বোন হিরামনি। মুক্তামনিকে শেষবারের মতো দেখতে তাদের বাড়িতে আসছেন পড়শী ও আত্মীয়-স্বজনরা। খবর পেয়ে মুক্তামনিকে দেখতে ছুটে আসেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাজ্জাদুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতলের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরহাদ জামিল। মুক্তামনির বাবা জানিয়েছেন, বাদ জোহর নামাজে জানাযা শেষে দাদার কবরের পাশে দাফন করা হবে ছোট্ট মুক্তামনিকে। গত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিল সে। কথা বলতেও পারছিলো না মেয়েটি। তার অস্ত্রোপচার হওয়া ডান হাতটি ফুলে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিলো। ক্ষতস্থানে নতুন করে পচনও ধরেছিলো। ডান হাত থেকে বেরিয়ে আসছিল সাদা পোকা আর রক্ত। প্রাণপ্রিয় মেয়ের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন ও তার মা আসমা খাতুন। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশীরা। তাদের আর্তনাদে কামারবায়সা গ্রামের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। মেয়ের মৃত্যুর পর এখন আর কিছুই চাওয়ার নেই উল্লেখ করে ইব্রাহিম হোসেন  বলেন, ওর জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন। এমন কোনো কিছু নেই যা সরকার করেনি। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন মুক্তামনির মাগফিরাত কামনা ছাড়া আমার আর কিছুই চাওয়ার নেই। জন্মের দেড় বছর পর শিশু মুক্তামনির দেহে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। মুক্তামনির আক্রান্ত ডানহাত ছোট আকারের গাছের গুড়ির রূপ নিয়ে প্রচণ্ড ভারী হয়ে ওঠে। এতে পচন ধরে পোকাও জন্মে। দিন-রাত চুলকানি ও যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে থাকতো শিশুটি। আক্রান্ত স্থান থেকে বিকট গন্ধ বের হতো। এ রোগ তার দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে গিয়েছিলো। গত বছর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। এরপর সে বছরের ১১ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় মুক্তামনিকে। সেখানে মুক্তামনির  চিকিৎসায় গঠিত হয় বোর্ড। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ধরা পড়ে মুক্তামনির হাত রক্তনালী টিউমারে আক্রান্ত। তারপর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অস্ত্রোপচার করে অপসারণ করা হয় তার হাতের অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড। কয়েক দফা অস্ত্রোপচার শেষে ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক মাসের ছুটিতে বাড়িতে নেওয়া হয় মুক্তামনিকে। এরপর আর ঢামেকে যেতে রাজি হয়নি মুক্তামনি। বাড়িতেই চলছিলো তার চিকিৎসা।

 

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.