1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
মা-বাবার জায়গা বৃদ্ধাশ্রম নয়, হোক হৃদয়ের মণিকোঠায়
       
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৮:০৮ অপরাহ্ন

মা-বাবার জায়গা বৃদ্ধাশ্রম নয়, হোক হৃদয়ের মণিকোঠায়

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি  বিশ্বব্যাপি আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন করা হয়। প্রবীণ মানুষের প্রতি সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণসহ প্র্রবীণ ব্যক্তিদেরকে উপহার ও মেসেজ ইত্যাদি প্রেরণ করা হয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে অধিকাংশ মানুষই বৃদ্ধ মাতা-পিতার খোঁজখবর রাখে না। বৃদ্ধা নিবাসে পাঠিয়ে দেন। সেখানে খাওয়া-দাওয়া পানাহার চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও ছেলেমেয়ে নাতি-নাতনি আপনজনের সাহচর্য থেকে বিরত হওয়ার কারণে মানসিকভাবে অনেক কষ্ট পান। তাদের জীবনযাত্রা হয়ে ওঠে দুর্বিসহ।

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, গোটা বিশ্বের যতো আদর সোহাগ, মায়া-মমতা, প্রেম নিবেদন মানুষের মধ্যে জড়িয়ে আছে কোনো কোনো স্বার্থের খাতিরে। স্বার্থহীন ভালোবাসা পাওয়া খুব কঠিন। প্রেমিক প্রেমিকার ভালবাসার মধ্যে লুকিয়ে আছে স্বার্থ। স্বার্থ জড়িয়ে আছে স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার মধ্যেও। বন্ধু-বান্ধবের ভালোবাসার মধ্যেও স্বার্থ আছে। স্বার্থ প্রতিটা পদে পদে। কিন্তু মধ্যগগনে সূর্যের মতো স্পষ্ট স্বার্থহীন ভালোবাসা একমাত্র মা-বাবার অন্তরে।

মা সন্তান জন্ম দেয়ার পর দুধ পান থেকে শুরু করে শিশু-কিশোর যৌবনে পদার্পণ পর্যন্ত জীবনের পরতে পরতে স্নেহ-মমতা অক্লান্ত পরিশ্রম স্বার্থহীনভাবে মা-বাবার। স্নেহ-মমতা দিয়ে আগলে রাখেন সন্তানকে। প্রতিটা মা-বাবার স্বপ্ন আমার কষ্ট ক্লেশ পরিশ্রমের মাধ্যমে সন্তান একদিন বড় হবে। মানুষ হবে, দেশবরেণ্য হবে, শ্রেষ্ঠ হবে। আল্লাহওয়ালা হবে, দেশপ্রেমিক হবে। মা-বাবার ও দেশের সেবা করবে।

সে সন্তান একদিন বড় হয়ে মা-বাবাকে পাঠায় নার্সিংহোমে। মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, যখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে যায়, তাদের রোগব্যাধি বাড়তে থাকে। স্মরণশক্তি কমতে থাকে, বুদ্ধি-বিবেচনায় ঘাটতি দেখা দেয়। মেজাজ খিটখিটে হতে পারে, দেখা দিতে পারে নানা রকম দুর্বলতা। ঠিক সেই মুহূর্তে নিজের ঘরে রেখে সেবা-যত্ন করা, চিকিৎসা করা, সম্মানজনক জীবন যাত্রার ব্যবস্থা করা প্রতিটা মানুষের অন্যতম ফরজ দায়িত্ব।

হজরত ওয়াইস করনী রহমাতুল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এর জমানার লোক। তিনি মুসলিম ছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নিকট দরখাস্ত পাঠালেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার খেদমতে হাজির হতে চাই।

কিন্তু আমার মা অসুস্থ আমার খেদমত ছাড়া তার চলে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বললেন, মায়ের পাশে থাকো, মায়ের সেবা করো, আমার জিয়ারত লাভের দরকার নেই। সাহাবিদের মর্যাদা লাভ করার প্রয়োজন নেই। ওয়াইস করনী হজরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনুগত্য করলেন, সাহাবীদের মর্যাদাকে কোরবানি করে মায়ের সেবায় যত্নবান হলেন। সেই সেবার বদৌলতে আল্লাহ তায়ালা আখেরাতে রাখলেন তার জন্য অফুরন্ত নিয়ামত আর দুনিয়াতে মহামানবদের কাতারে শামিল করে পুরস্কৃত করলেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম হজরত ওমর (রা.)-কে বললেন, কোনো এলাকা হতে যদি কোনো ব্যক্তি আসে তার দ্বারা দোয়া করিয়ে নিও। আল্লাহ তায়ালা তার দোয়া কবুল করবেন। হজরত ওমর (রা.) খুঁজতে খুঁজতে একসময় ওয়াইস করনীর সাক্ষাৎ পেলেন এবং বললেন, আপনি আমার জন্য দোয়া করেন। ওয়াইস করনী জিজ্ঞেস করলেন, আপনি আমার নিকট দোয়া চাওয়ার কারণ কী? খালিফা বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, দোয়া চাওয়ার জন্য, আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়া কবুল করবেন। একজন জলিল কদর সাহাবি খলিফাতুল মুসলিমীনকে আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, তার দ্বারা দোয়া করিয়ে নিতে। ওয়াইস করনী (রহ.) এত সুমহান মর্যাদার আসন লাভ করলেন একমাত্র মায়ের সেবার বদৌলতে।

মুসলিম শরিফ হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণিত যে, রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলেন, আমি দু’টি কাজের জন্য আপনার হাতে শপথ গ্রহণ করতে এসেছি, আমি আমার দেশ ছেড়ে মদিনা-মনোয়ারা থাকতে চাই, আপনার পাশে থেকে আল্লাহর পথে জিহাদ করতে চাই। আর এরদ্বারা আমার নিয়ত হলো আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রতিদান লাভ করা। রাসূল (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মা-বাবা কেউ জীবিত আছেন?

লোকটি বললেন, হ্যাঁ দু’জনে জীবিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার সঙ্গে না থেকে তার নিকট গিয়ে তাদের সেবা-যত্ন করো এবং স্বদ্যব্যবহার করো। আল্লাহর পক্ষ থেকে সেই প্রতিদান অবশ্যই পাবে। (মুসলিম শরিফ)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেন, ওই ব্যক্তি লাঞ্ছিত, ওই ব্যক্তি লাঞ্ছিত, ওই ব্যক্তি লাঞ্ছিত। জিজ্ঞেস করলে আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, যে মাতা-পিতাকে বৃদ্ধাবস্থায় পেল। তারপর তাদের খেদমত করে জান্নাত লাভ করতে পারেনি। হজরত আবু উমামা বাহেলী রহমতুল্লাহি বর্ণনা করেন, একব্যক্তি নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসূল (সা.)!

সন্তানের ওপর মাতা- পিতার হক কতটুকু? এরশাদ হলো, মাতা-পিতাই হলো তোমার জন্য জান্নাত বা জাহান্নাম, ইবনে মাজাহ। রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং আমাদের প্রবীণ ও বয়স্কদের সম্মান করে না, তাদের অধিকার ও মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন নয়, সে আমার উম্মত নয়।

তথ্যসূত্র:জুমবাংলা ডেস্ক

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.