1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
ব্যাট-বলের দাপটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়        
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন

ব্যাট-বলের দাপটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওয়ানডেতেই জিতে নিয়েছে তিন ম্যাচের সিরিজ। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার একটা সময় বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে। জিম্বাবুয়ে আটকে যায় ৫০ ওভারে ২৪৬ রানে। রান তাড়ায় বাংলাদেশকে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে দেয় উদ্বোধনী জুটি। অনায়াস জয় ধরা দিয়েছে ৩৫ বল বাকি থাকতেই। জয়ের উপলক্ষ্যে খানিকটা আক্ষেপের কাঁটা দুই ওপেনারের সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া। নান্দকিতার সুবাস ছড়িয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করলেও ৮৩ রানে উইকেট উপহার দিয়ে এসেছেন লিটন দাস। পিঠেপিঠি সেঞ্চুরির সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে ইমরুল কায়েস উইকেট বিলিয়েছেন ৯০ রানে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ও রাতের শিশির তীব্রতা মিলিয়ে আড়াইশর নিচের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না বাংলাদেশের জন্য। দুই ওপেনারের ব্যাটে সেটি হয়ে ওঠে আরও সহজ। শুরুর কয়েক ওভারের নড়বড়ে ভাবটা কাটিয়ে ওঠার পর লিটন ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। শট খেলেছেন উইকেটের চারপাশে। ইমরুল শুরুটা করেছিলেন সতর্ককতায়। এগিয়ে গেছেন নির্ভরতায়। ১৪৮ রানের জুটি গড়েন দুজন। ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৭৭ বলে ৮৩ করে সিকান্দার রাজাকে উইকেট দিয়ে ফেরেন লিটন। বলের কাছ পর্যন্ত যেতে না পারলেও ব্যাট চালিয়ে ক্যাচ দেন পয়েন্টে। অভিষেকে শূন্য রানে বিদায় নেওয়া ফজলে রাব্বি দ্বিতীয় ম্যাচেও পাননি রানের দেখা। সিকান্দারের বলেই স্টাম্পড। সেঞ্চুরিটা যখন কেবল মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার, সিকান্দারকেই অযথা উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট ইমরুল। ৯০ করেছেন ১১ বলে। বাকি পথটুকু পাড়ি দিতে কোনো বেগ পেতে হয়নি মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনকে। ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক, ২১ বলে অপরাজিত ২৪ মিঠুন। ব্যাটিং দাপটের আগে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছিল ইনিংসের শেষ ভাগের বোলিং। ব্রেন্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজাদের সৌজন্যে এক সময় আরও বড় স্কোরের আশায় ছিল জিম্বাবুয়ে। দেড়শ ছুঁয়েছিল তারা ৩১ ওভারে। কিন্তু পরের সময়টুকুতে যোগ করতে পারেনি আর একশ রানও। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমানদের দারুণ বোলিং নিশ্চিত করেছে, খুব কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হচ্ছে না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ম্যাচের আগের দিন লালচাঁদ রাজপুত বলেছিলেন, সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যাটে বড় স্কোর এল বলে। জিম্বাবুয়ে কোচের সেই ডাক শোনেননি হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। টেইলর শুনেছেন, ছুটেছেন। কিন্তু দলের দাবি মিটিয়ে আরও বড় করতে পারেননি ইনিংস। টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন সাইফ উদ্দিন। নিজের প্রথম দুই ওভারে ছন্দ পাননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজেকে বদলে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আনেন সাইফ উদ্দিনকে। হালকা বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মাসাকাদজা। তিনে নামা টেইলরের দারুণ ব্যাটিংয়ে সেই ধাক্কা সামাল দেয় জিম্বাবুয়ে। ওপেনার সিফাস জুয়াওকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন টেইলর। ভালো শুরুর পর আবারও উইকেট ছুঁড়ে এসেছেন জুয়াও। মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েছেন ২০ রানে। জিম্বাবুয়ে ইনিংসের সেরা জুটি পায় এরপরই। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে চারে নামেন শন উইলিয়ামস। তাকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে টেইলর গড়েন ৭৭ রানের জুটি। পেস-স্পিন, সব বোলারকেই দারুণ স্বচ্ছন্দে খেলছিলেন টেইলর। উইলিয়ামস দিচ্ছিলেন সঙ্গ। জিম্বাবুয়ে ছিল পুরো নিয়ন্ত্রণে। সেই লাগাম আলগা করে দেন টেইলর নিজেই। জুটি ভাঙতে মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে আনেন মাশরাফি। ইন সাইড আউটে দারুণ চার মারেন টেইলর। পরের বলেই রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ। ৭৩ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে রানে ফেরার স্বস্তি যেমন থাকল, আরও বড় করতে না পারার হতাশাও নিশ্চিত থাকবে টেইলরের। জিম্বাবুয়ে জুটি পেয়েছে এরপরও। পরের দুই জুটিতেই এসেছে ৪১ রান করে। কিন্তু কোনো জুটি টেকেনি লম্বা সময়, কোনো ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত পারেননি দলকে টানতে। শেষে ওঠেনি ঝড়। সাইফ উদ্দিন, মাশরাফি, মুস্তাফিজের ত্রিমুখী পেস আক্রমণে থমকে যায় জিম্বাবুয়ে। ৪৭ রান করা উইলিয়ামসকে ফেরান সাইফ উদ্দিন। দলে ফেরা এল্টন চিগুম্বুরাকেও এই পেসার মেলতে দেননি ডানা। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রান করা বিপজ্জনক সিকান্দার রাজাকে থামান মাশরাফি। শেষ ১০ ওভারে জিম্বাবুয়ে তুলতে পারে মাত্র ৫৪ রান। ক্যারিয়ারে আগের চার ওয়ানডে মিলিয়ে ১ উইকেট পাওয়া সাইফ উদ্দিন এই ম্যাচেই নিয়েছেন তিন উইকেট। ম্যাচের সেরাও তিনি।  অনুমিতভাবেই রান তাড়ায় জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জ জানাতেও দেয়নি বাংলাদেশ। মিঠুনের বিশাল ছক্কায় যেভাবে শেষ হলো ম্যাচ, তাতে মিশে থাকল যেন বাংলাদেশের দাপুটে পারফরম্যান্সও।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৪৬/৭ (মাসাকাদজা ১৪, জুয়াও ২০, টেইলর ৭৫, উইলিয়ামস ৪৭, সিকান্দার ৪৯, মুর ১৭, চিগুম্বুরা ৩, মাভুটা ৯*, টিরিপানো ৩*; মাশরাফি ১/৪৯, মুস্তাফিজ ১/৩৫, সাইফ ৩/৪৫, মিরাজ ১/৪৫, অপু ০/৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১/২১)।

বাংলাদেশ: ৪৪.১ ওভারে ২৫০/৩ (লিটন ৮৩, ইমরুল ৯০, মাহমুদ ০, মুশফিক ৪০*, মিঠুন ২৪*; জার্ভিস ০/৩১, চাটারা ০/৪৮, টিরিপানো ০/২২, মাভুটা ০/৫৬, উইলিয়ামস ০/৪৩, সিকান্দার ৩/৪৩, জুয়াও ০/৬)

ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-০তে এগিয়ে

ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.