Main Menu

অনলাইন সংবাদপত্রে নীতিমালা থাকা একান্ত প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: দেশের অনলাইন সংবাদপত্রের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনলাইন সংবাদপত্রের একটা নীতিমালা থাকা একান্ত প্রয়োজন। হঠাৎ হঠাৎ গজিয়ে ওঠা অনলাইন পত্রিকাগুলো অনেক অপপ্রচার চালায়।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ভাতা/অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অনলাইন গণমাধ্যমের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই পত্রিকার কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে অপপ্রচার এবং গুজব জাতীয় নিউজ পরিবেশন হয়। এ ছাড়া নোংরা নোংরা কিছু জিনিস আসে। এসব যাতে না আসতে পারে সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ এসব ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এদিকে লক্ষ্য রেখেই অনলাইন সংবাদপত্রের একটা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমার বাবাও সংবাদপত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শুধু সংবাদ পরিবেশন করতেন না, সংবাদপত্র বিক্রিও করতেন। সেদিক থেকে আপনারা আমাকে নিজেদের পরিবারের একজন সদস্য ধরতে পারেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রেস ক্লাবে ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা পাওয়া যেমন কষ্টকর তা রক্ষা করা তার চেয়েও কষ্টকর। স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য বহু সময় প্রয়োজন। স্বাধীনতার ৬ মাসের মধ্যে যত স্বাধীনতা পেয়েছেন এর আগে এতটুকু স্বাধীনতা কেউ পায়নি।’ তিনি সংবাদপত্রের জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ভালো তবে সেটা বালকের জন্য নয়। এ ধরনের বালখিল্য ব্যবহার যেন কেউ না করে সেদিকেও দৃষ্টি দেয়া উচিত। সংবাদপত্র ও মিডিয়া গঠনমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে, যেটা দেশের জন্য কাজে লাগবে। নিশ্চয় আপনারা তা করবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ।

এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য্য, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব আবদুল মালেক ও বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর।

অনুষ্ঠানে ১১৩ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তা ভাতা/অনুদানের চেক দেয়া হয়। তিন বছরে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে সাংবাদিকদের মোট ১০ কোটি ৭ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.