1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর -স্ট্যাটাস ভাইরাল        
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর -স্ট্যাটাস ভাইরাল

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৮

এ এস ফারদিন আহমেদ ও তার রোবট (ছবি ফেসবুক থেকে নেয়া)

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ এস ফারদিন আহমেদ। নিজের চেষ্টায় তৈরি করেছেন অ্যাডভান্স লেভেলের রোবট।

কিন্তু আর্থিক শঙ্কটের কারণে সেটির আর কোনো উন্নয়ন করতে পারছেন না। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন যায়গায় ফান্ডের জন্য আবেদন করেও কোনো সহায়তা পাননি তিনি। তাই শেষ পর্যন্ত ‌রোবটিক্স’ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে তিনি একটি স্ট্যাটে বিষয়টি নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করেছেন। তার সেই স্ট্যাটাসটি কয়েক হাজার মানুষ শেয়ার করেছে।পাঠকের উদ্দেশ্যে তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল…

‌’ভাবছি রোবটিক্সটা ছেড়ে দেব।

নিজের চেষ্টায় এই পর্যন্ত আসতে পেরেছিলাম। এত চেষ্টা করেও একটা ফান্ড পেলাম না। তাই পরবর্তীতে রোবটটার আর কোন ডেভেলপমেন্ট করতে পারিনি ।

সরকারি সহায়তা, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তা; কোনটাই পেলাম না। এমন কি স্পন্সর কোম্পানিতেও আবেদন করলাম, কোথায়ও একটা ফান্ড পেলাম না।

সরকারি ফান্ড এর আবেদনের পর যখন ভাইবা বোর্ড এ আমাকে বলা হল, ‘আচ্ছা আপনার রোবটটা বানাতে কি বুয়েট এর কেউ সাহায্য করেছিলো?’; এরপরই আসলে বুঝে গেছিলাম, আমার জন্মটাই একটা ভুল দেশে।

(ফারদিন ও তার রোবট: ছবি ফারদিনের ফেসবুক থেকে নেয়া)

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু এ ব্যাপারে একটা সাপোর্ট দিতে পারতো। কিন্তু ভাবি নাই, এখানে ক্রিয়েটিভ কোন কাজের জন্য বিন্দু মাত্র সাপোর্ট দেয়া হয় না । “টাকা দিবে, শিক্ষা নিবে”। এটাই নীতি ।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ‘রিবো’ রোবটটার ডেভেলপার ছিল ১১ জন। আর সেখানে আমি একা চেষ্টা করেই তাদের তৈরি রোবটটা থেকে কিছু

অ্যাডভান্স আউটপুট দিতে সক্ষম হয়েছিলাম।

রিবো থেকে আমার ‘ফারবোট’ এর রেসপন্স ছিল বেশি দ্রুত এবং নির্ভুল। এমনকি গাণিতিক কিছু হিসাব-নিকাশ জিজ্ঞাস করলেও রোবটটা নির্ভুল ভাবে উত্তর দিতে পারতো। যে ফিচারটা বাইরের দেশ গুলোর অনেক অ্যাডভান্স রোবটেও সাধারণত নেই ।

রিবো এর উন্নয়নের জন্য তারা পরবর্তী ১০ লাখ টাকার সরকারি সহযোগিতা পেয়েছিল। এছাড়াও তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ভালো একটা ফান্ড পেয়েছিল ।

আর ফাবোট এর ফান্ড তো দুরের কথা, যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অথরিটি এই ৬ ফুট উচ্চতার রোবটটা সম্পর্কে কিঞ্চিত খোঁজ নিতে আসেনি। উল্টো আমার নাম ব্যবহার না করেই তারা পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলো।

কিছু লোক আমার সামনেই এভাবেও বলেছিল ‘ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আসলে রোবট শব্দটাই কেমন বেমানান।’

নিজের ভার্সিটি সম্পর্কে এমন কথা শোনার পর খারাপ লাগলেও পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম কথাটা ঠিকই ছিল।

রোবটটিতে যতটুকু আউটপুট দিতে পেরেছিলাম একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে বলতে পারি; হয়তো কোন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টরা তাদের সর্বোচ্চ কাজ হিসাবে এমন কিছুই কল্পনা করে থাকে। যেটা আমি ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তির পর নিজের কাছ থেকেও আশা করিনি।

যাইহোক, স্ট্যাটাসটা দিলাম একজন ব্যর্থ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে না, একটা ব্যর্থ দেশের নাগরিক হিসাবে।

বিদেশে সামান্য একটা লাইন ফলোয়ার রোবট বানালেও তাদের দেশের মিডিয়াগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ে সেটা প্রচার-প্রচারণা করতে।

কিংবা ‘সোফিয়া’দের মত রোবটগুলো এনে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হবে, আর এদেশের সাংবাদিকেরা নিজেরাই অন্যদেশের প্রপ্রোজেক্টগুলো প্রচার প্রচারণার দায়িক্ত নিয়ে নিবে। কিন্তু আমরা কাজের জন্য সামান্য কোন সরকারি সহয়তা পাবো না।

ভাই, আমার মত তরুণদের কাজ বড় বড় মিডিয়াতে আসবে না। এই কথা গুলা হয়তো এ দেশের সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি পর্যন্ত পৌঁছাবে না।

কিছু কষ্ট নিয়েই বলি, এদেশে উচ্চ শিক্ষিত মেধাবি হবার থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশ করে রাজনীতিবিদ হওয়া ভালো। তাতে খুব তাড়াতাড়ি টাকার পাহাড় গড়া যায়।

আমি পার্সোনালি ধন্যবাদ জানাই আমাদের ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শ্রদ্ধেয় চেয়ারপার্সন স্যার আহমেদ ওয়াসিফ রেজা এবং সুরজিত দাস বর্মন স্যারকে; যারা আমার একটা ফান্ড এর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন।

গুড বাই রোবটিক্স

যেদিন নিজের প্রতিষ্ঠিত একটা ব্যক্তিগত রিসার্স ল্যাব থাকবে সেদিন হয়তো ফিরে আসবো।

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.