Main Menu

পরীক্ষার হল থেকে চুয়েট সভাপতিকে ধরে নিয়ে মিথ্যা নাটক মঞ্চস্থ : শিবির

নিউজ ডেস্ক: 

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) শাখা ছাত্রলীগ নামধারী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সৈয়দ ইমাম বাকের সহ কতিপয় সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রশিবির সভাপতি জামিল আহম্মেদ কে প্রকাশ্যে পরীক্ষার কক্ষ থেকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর জোর পূর্বক দেশীয় অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর সভাপতি আহমেদ সাদমান সালেহ ও সেক্রেটারী আ স ম রায়হান।

যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সরকার দলীয় সোনার ছেলেরা চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার স্বাভাবিক পরিবেশকে অস্থির করে তুলেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ইভটিজিং, ছাত্রী-শিক্ষক লাঞ্চনা, মাদকের ভয়াবহ আস্তানা তৈরি সহ নানা অপরাধ কর্ম করলেও সরকারের অভিযান কিংবা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেদিকে কোন কর্ণপাত করছে না। প্রচলিত আইনের ধারায় এসব চিহ্নিত অপরাধীরা আইন ও আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উল্টো রাতের আধাঁরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপরাধ ছাত্রদের ঘুম থেকে উঠিয়ে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। এহেন বর্বর নির্যাতনের পর তাদের অপকর্ম থেমে থাকেনি বরং পরীক্ষার কক্ষ থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তার সামনে থেকে প্রকাশ্যে চুয়েট শাখা শিবির সভাপতি জামিল আহম্মেদকে উঠিয়ে নিয়ে ব্যাপক মারধর করার পর জোর পূর্বক দেশীয় অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তারা সোনার ছেলেদের এসব জঘণ্য অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দুরের কথা বরং কেউ মুখ পর্যন্ত খোলার সাহস পাচ্ছে না। তারা কথায় কথায় অস্ত্র ও মামলার ভয় দেখিয়ে পুরো প্রশাসনকে জিম্মী করে রেখেছে। একই সাথে তারা প্রতিনিয়ত ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে তাদের নির্দেশনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও মানতে বাধ্য করছে। সাধারণ ছাত্রদের তারা শিবির আখ্যা দিয়ে নিয়মিত মারধর করে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে। তাদের চাহিদা মতো চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে সেসব ছাত্রদের ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাশ কাটিয়ে সোনার ছেলেরা রাতের অন্ধকারে তল্লাশীর নামে সাধারণ ছাত্রদেরকে হয়রানী ও মাদকের আস্তানার সংবাদ প্রথম আলো, আমাদের সময় সহ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও উপরি মহল তাদের নিয়ে কোন উচ্চ বাচ্য করছে না। তাছাড়া সরকারের নির্দেশে সারা দেশে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হলেও ছাত্রলীগ নামধারী চিহ্নিত এসব মাদক স¤্রাটের ব্যাপারে প্রশাসন একেবারেই নির্বিকার।

নেতৃবৃন্দ বলেন অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা তাদের দ্বারাই সম্ভব যারা নিয়মিত অস্ত্র উঁচিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানারূপ ভয়ভীতি দেখায়। কেননা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশ করে কলম, পেন্সিল সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সাথে নিয়ে। সারা দেশ যেখানে সরকার দলীয় দুঃশাসনের কঠিন যাতাকলে নিপতিত এ অবস্থায় শিবির নেতার সাথে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানো অন্ধকে হাতির অঙ্গ দর্শনের গল্প শেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়।

শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন দেশের প্রতিটি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ যেখানে সরকার দলীয় সোনার ছেলেদের অভ্যন্তরীন কোন্দল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি, মাদক, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নিজেদের উপগ্রæপে বিভক্ত নেতা কর্মীদের প্রকাশ্য অস্ত্রের নিচে চাপা পড়েছে সেখানে নিরীহ শিবির কর্মীদের ধরে নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে অস্ত্র উদ্ধারের মিথ্যা, ভিত্তিহীন সাজানো সংবাদ প্রচার করা জাতির সাথে তামাশা করারই নামান্তর যা কখনো প্রত্যাশিত নয়। শিবির নেতারা এহেন জঘণ্য মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শিবির নেতার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো ও বিদ্ধেষম‚লক অপপ্রচার বন্ধ করে তাকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

 

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.