অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর। তার রহস্যজনক মৃত্যু হয় গত জুলাই মাসে। এ ঘটনায় করাচির একটি স্থানীয় আদালত ফৌজদারি মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত আরো তীব্র ও বিস্তৃতভাবে চালানো হবে। আইনজীবী ও পুলিশের প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশনস জজ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছেন। আবার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যার সম্ভাবনা রয়েছে।আর তাই পুলিশকে হুমাইরার পরিবারের পক্ষ এবং রাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করে একটি এফআরআই করতে হবে।
এদিকে নয়া মোড় নিয়েছে এই ঘটনা। পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, হুমাইরাকে হত্যা করা হয়েছে এবং মেকআপ আর্টিস্টসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের এই মামলার তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে। এমনকি ওই পিটিশনে বলা হয়েছে, মৃত্যুর পরও হুমাইরার ফোন মাসের পর মাস সচল ছিল। পরিচিত এক মেকআপ আর্টিস্টের একাধিক কল তিনি ধরেননি; পরে হোয়াটসঅ্যাপে প্রোফাইল ছবি হঠাৎ সরিয়ে ফেলা হয়। এ বিষয়টি নিয়েই সন্দেহ আরও গভীরে গিয়েছে। তাই পিটিশনে ওই মেকআপ আর্টিস্ট, হুমাইরার ভাইসহ কয়েকজনকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
করাচিতে গত ৮ জুলাই ইত্তেহাদ কমার্শিয়ালের একটি ফ্ল্যাট থেকে হুমাইরার ক্ষয়প্রাপ্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, মরদেহের অবস্থার কারণে ধারণা করা হচ্ছে তিনি প্রায় আট মাস আগে মারা গেছেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হুমাইরা অর্থনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি ছিলেন এবং শেষবার তিনি সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ একটি কমার্শিয়াল ফটোশ্যুটে অংশ নিয়েছিলেন। ফ্ল্যাট থেকে সংগৃহীত কিছু সামগ্রীর রাসায়নিক পরীক্ষায় পাওয়া গেছে সমুদ্র লবণ, যা দুর্গন্ধ নিবারণ এবং পোকামাকড় দূর করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, হুমাইরার মোবাইল ফোন অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত সচল ছিল, যদিও ওই সময় মেকআপ আর্টিস্টের কল রিসিভ করা হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল পিকচারও সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশের পর, পুলিশ হুমাইরার পরিবারের সদস্য ও নিকটজনদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে তদন্ত চালাবে। এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট মেকআপ আর্টিস্ট, ভাই এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এই সিদ্ধান্তের ফলে হুমাইরার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দিকে নতুন এক ধাপ এগোলো, যা ঘটনার প্রকৃত কারণ ও অপরাধীদের শনাক্ত করতে সহায়ক হবে বলে বোঝা যাচ্ছে।
প্রতিনিধি