রশিদ খান না সেদিনের ছেলে! না, মানে বয়স তো মাত্র ২৬। ক্যারিয়ারের বয়সও ১০ বছর। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের হয়ে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি অভিষেক। তারপর থেকেই রশিদ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দারুণ এক দূত।
এই সংস্করণে স্বীকৃত ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেটও তাঁর। পরশু ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ‘দ্য হানড্রেডে’ ৩ উইকেট নিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বোলার হিসেবে রশিদ নিয়েছেন ৬৫০ বা এর বেশি উইকেট।হানড্রেড ১০০ বলের খেলার হলেও এটির রেকর্ডকে টি-টোয়েন্টির মধ্যেই ধরা হয়। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ওভাল ইনভিন্সিবলের হয়ে লন্ডন স্প্রিটের হয়ে ৩ উইকেট নেন রশিদ। তাতে তাঁর উইকেটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৫১।
তালিকায় দ্বিতীয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো। তাঁর উইকেট ৬৩১টি। ৪১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার অবশ্য এখন বেশির ভাগ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে কোচের দায়িত্ব পালন করেন। মাঝারি মানের কিছু লিগে খেলেন। মানে সেরা সময়ের ধারেকাছেও নেই।তিন নম্বরে পরে আসা যাক। তালিকায় চতুর্থ ইমরান তাহির, পঞ্চম সাকিব আল হাসান। তাহিরের উইকেট ৫৪৭টি, সাকিবের উইকেট ৪৯৮টি। তাহির ও সাকিব দুজনেই সেরা সময়ের ধারেকাছেও নেই। দুজনেই খেলেছেন সর্বশেষ গ্লোবাল সুপার লিগে। ক্যারিবিয়ান লিগ সিপিএলেও খেলার কথা তাঁদের।শীর্ষ পাঁচে রশিদ ছাড়া আর যে খেলোয়াড় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তিনি সুনীল নারাইন। তালিকায় তৃতীয় নারাইনের উইকেট ৫৮৯টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই স্পিনার এখনো শীর্ষ সব লিগে খেলেন। শীর্ষ পাঁচে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে রশিদ ও নারাইনের ক্যারিয়ারই সবচেয়ে ছোট। রশিদের ক্যারিয়ার যেখানে ১০ বছরের, সেখানে নারাইনের ১৪ বছর। অন্যদিকে সাকিব, ব্রাভো ও তাহির ২০০৬ সাল থেকে খেলছেন।টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর মধ্যে রশিদ সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন আইপিএলে, ১৫৮টি। বিগ ব্যাশে ৯৮টি। আইপিএল, বিগ ব্যাশসহ ১২টির মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন রশিদ।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রশিদ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি—১৬১টি। তাঁর চেয়ে ৩ উইকেট বেশি অবসর নেওয়া পেসার টিম সাউদির। মানে এবারের এশিয়া কাপেই রেকর্ডটি নিজের করে নিতে পারেন রশিদ। এই তালিকাতেও আছেন সাকিব। তাঁর উইকেট ১৪৯টি—চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
প্রতিনিধি