ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস (ডব্লিউসিএল) থেকে আজীবনের জন্য নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। টুর্নামেন্টের সদ্য সমাপ্ত আসরে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্সের বিপক্ষে ভারত চ্যাম্পিয়ন্সের দুটি ম্যাচ বয়কটের প্রতিবাদে কঠোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
এর জন্য আয়োজকদের পক্ষপাতমূলক আচরণকে দায়ী করেছে পাকিস্তান। ভারতের বয়কট করা ম্যাচগুলোর মধ্যে একটি সেমিফাইনালও ছিল।পিসিবির অভিযোগ, লিগ পর্বে ভারত বর্জন করায় পাকিস্তান পূর্ণ ২ পয়েন্টে পাওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। আয়োজকরা পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই বিতর্কিত বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। পিসিবি মনে করছে, বয়কট করা ম্যাচে ভারতকে পয়েন্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত পক্ষপাতদুষ্ট ও ভণ্ডামি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আরও বলেছে, আয়োজকেরা ‘স্পোর্টস ফর পিস বা খেলার মাধ্যমে শান্তি’ এই ধরনের আদর্শ নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেছে এবং রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থকে খেলার ওপর প্রাধান্য দিয়েছে।পিসিবির এই বিবৃতি এসেছে তাদের ৭৯তম বোর্ড অব গভর্নরস মিটিংয়ের পর। বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নকভির সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত ক্রিকেটীয় দক্ষতার ভিত্তিতে নয় বরং একটি নির্দিষ্ট জাতীয়তাবাদী বর্ণনার তোষামোদী করতে গিয়েই নেওয়া হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াজগতের জন্য এক অগ্রহণযোগ্য বার্তা।’
বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়, ‘আমরা এমন কোনো ইভেন্টে আমাদের খেলোয়াড়দের অংশ নিতে দিতে পারি না, যেখানে খেলার স্পিরিট রাজনীতির ছায়ায় ঢাকা পড়ে এবং স্পোর্টসম্যানশিপ ও জেন্টলম্যানস গেম এর মূল চেতনাকে নষ্ট করা হয়।ভারত ম্যাচ বয়কট করায় আয়োজক কমিটি দুঃখ প্রকাশ করলেও পিসিবি সেটিকে ‘লোকদেখানো ও মুখোশধারী পক্ষপাত’ বলে অভিহিত করেছে।
পিসিবি বলেছে, ‘এই ক্ষমা প্রার্থনা স্বীকার করে যে, সিদ্ধান্তটি ক্রিকেটীয় মূল্যায়নের ভিত্তিতে নেওয়া হয়নি। বরং নির্দিষ্ট এক জাতীয়তাবাদী বর্ণনার চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করেই নেওয়া হয়েছে।’
সবশেষে পিসিবি জানায়, তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতার পক্ষে হলেও যেসব টুর্নামেন্ট খেলার চেতনার পরিপন্থী, তাতে আর অংশ নেবে না।
প্রতিনিধি