প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের একটি মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন। এর ফলে অধ্যাপক ইউনূসসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা মামলাটি বাতিল হলো।
আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান।
ড. ইউনূসের আইনজীবী জানান, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের জয় হয়েছে। তাছাড়া এই আপিল মঞ্জুর হওয়ায় ড. ইউনূস সরকার প্রধান হওয়ার পর দুদকের তড়িঘড়ি করে মামলা প্রত্যাহার সঠিক ছিল না বলেও প্রমানিত হলো।
আর দুদকের আইনজীবী জানান, একজন নোবেলজয়ী ব্যক্তিকে হয়রানি করার জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দুদককে অপব্যবহার করেছিল।
২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে এ মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাটির কার্যক্রম বাতিল চেয়ে গত বছরের ৮ জুলাই হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তৎকালীন শীর্ষ ৬ কর্মকর্তা। ২৪ জুলাই হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে দেন।
এরপর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এরমধ্যেই রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করা হয়।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।
ড. ইউনূস ছাড়া অন্য ছয় আবেদনকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম (বর্তমানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা) ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।