এদিন জুমার সবচেয়ে বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। সারা দেশের সব মসজিদে খতিব ও আলেমরা জুমাতুল বিদার তাৎপর্য নিয়ে বয়ান পেশ করবেন। বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হবে।
আজ অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি নামাজ শুরুর অনেক আগেই মসজিদে গিয়ে অবস্থান করবেন। সেখানে কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-দরুদ পাঠ করবেন। এ ছাড়া অনেকে নিজের পরিবার ও প্রয়াত আত্মীয়-স্বজনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দান-খয়রাতও করবেন।
নানান কারণেই মুসলমানদের কাছে জুমাতুল বিদার গুরুত্ব অনেক। রমজান মাস সীমাহীন ফজিলতের মাস। হাদিসে আছে—হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, ‘রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন—যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়’ (বুখারী, মুসলিম)। তাই সারা বছরের মধ্যে মুমিনের কাছে রমজান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুমাতুল বিদার মাধ্যমে কার্যত রোজাকে বিদায় জানানো হয়।