1. abusufian7389@gmail.com : .com : sk .com
  2. ashfakur85@gmail.com : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. b.c.s.bipro@gmail.com : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. zihad0292@gmail.com : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. ahmedmdmahfuz@gmail.com : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. nazimahmed2042@gmail.com : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. shahadotchadni@gmail.com : Md Sh : Md Sh
  8. ashfakur86@gmail.com : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. shuddhobarta24@gmail.com : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. surveyor.rasid@gmail.com : Abdur Rasid : Abdur Rasid
আকাশ নজরদারিতে পুরোপুরি সক্রিয় ৭৩০ কোটির নতুন রাডার        
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন

আকাশ নজরদারিতে পুরোপুরি সক্রিয় ৭৩০ কোটির নতুন রাডার

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

আকাশসীমা নিরাপদ রাখতে নজরদারি জরুরি। এই নজরদারি ব্যবস্থা জোরালো করতে ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্রান্সের থ্যালাস কোম্পানি থেকে কেনা হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন রাডার। নতুন এই রাডার পুরোপুরি কাজ শুরু করেছে। এর বাইরেও রয়েছে বিমানবাহিনীর নিজস্ব রাডার। অপরদিকে চট্টগ্রামে আরও একটি রাডার অপারেশনের অপেক্ষায়। সব মিলিয়ে দেশের আকাশসীমা আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে আরও সুসংহত ও নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রাথমিক অবস্থায় এই রাডারের ব্যয় নিয়ে নানা বিতর্ক উঠেছিল। সেই সমালোচনা এড়াতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) পদ্ধতিতে রাডার বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের এপ্রিলে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিএনএস-এটিএম (কমিউনিকেশন, নেভিগেশন অ্যান্ড সার্ভিল্যান্স-এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট) ব্যবস্থাসহ রাডার স্থাপন নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এই প্রকল্পে ২০২১ সালের ৮ জুন অনুমোদন দেয় ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা। এই ব্যয় বেবিচকের নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে ফ্রান্সের রাডার প্রস্তুতকারী কোম্পানি থ্যালাসের সঙ্গে ২০২১ সালের অক্টোবরে চুক্তি করে বেবিচক। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে নভেম্বরে বসানো হয় এই রাডার। ধীরে এটি অপারেশনও শুরু করে। গত আগস্ট থেকে এটি পরিপূর্ণভাবে অপারেশনে রয়েছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট-এটিএম) এয়ার কমোডর জিয়াউল হক বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে নতুন স্থাপিত রাডারটি এখন ফুল অপারেশনে রয়েছে। এই রাডার বর্তমান সময়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এতে দেশের আকাশসীমা পর্যবেক্ষণ আরও শক্তিশালী হলো। নতুন এয়ার ট্রাফিক সিস্টেমের (এটিএস) কারণে বহির্বিশ্বে আমাদের মর্যাদাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের এটিএম নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। অনেকে কিছু টেকনিক্যাল বিষয়ের কারণে নানা ধরনের গুজব ছড়ায়। আমাদের অত্যাধুনিক সিস্টেমের রাডারের পাশাপাশি বিমানবাহিনীর নিজস্ব রাডার রয়েছে, যার দ্বারাও আমরা পর্যবেক্ষণ করি। এছাড়াও চট্টগ্রামে আরেকটি রাডার অপারেশনের অপেক্ষায় রয়েছে। কোনও দেশের বিমান আমাদের দেশের আকাশসীমা ফাঁকি দেবে এমন সুযোগ নাই।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা এটিএমের মাধ্যমে যথেষ্ট রাজস্ব আয় করি।

বেবিচক সূত্র জানায়, দেশের আকাশসীমা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিমূলক অসত্য তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। চট্টগ্রামে স্থাপিত রাডার নিয়ে বেশ কিছু দিন যাবৎ ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। শাহজালালে আগে স্থাপিত রাডারটির অনেক পুরনো হলেও বিভিন্ন সময় আপগ্রেডেশন, ওভারহোলিং করার মাধ্যমে সবসময় সচল ও স্বাভাবিক অপারেশনে ছিল। ২৪ ঘণ্টাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারিসহ কন্ট্রোল সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। ফলে রাডার ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রম করার সুযোগ আগেও ছিল না, এখনও নেই।

বেবিচক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের আকাশসীমায় কখন কোন বিমান ঢুকবে তা পূর্ব নির্ধারিত। এর জন্য ওভারফ্লাইং চার্জ প্রযোজ্য। যদি এক মিনিটের জন্যও কোনও বিমান দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করে, এ জন্য তাদের জানাতে হয় এবং চার্জ প্রযোজ্য হয়। শুধু বেবিচকের রাডারই নয়, বাংলাদেশের আকাশসীমা পাহারার জন্য বিমানবাহিনীর একাধিক রাডার রয়েছে।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের রাডারের মাধ্যমে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল করা না হলেও ঢাকা রাডারের মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষিণ অংশ তথা সমুদ্রসীমা সম্পূর্ণভাবে মনিটর করা হয়। চট্টগ্রামে জাইকার সহায়তায় ২০১৭ সালে রাডার স্থাপন করা হলেও শুরুতে বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতা এবং পরবর্তীতে করোনা মহামারির কারণে কমিশনিং বিলম্ব হয়। তবে ২০২২ সালে রাডারটি একবার চালু হয়। পরে টেকনিক্যাল ত্রুটি ধরা পড়লে অপারেশন বন্ধ হয়। বর্তমানে জাপানে এনইসি কোম্পানির মাধ্যমে টেকনিক্যাল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত এটি আবারও অপারেশন শুরু করবে।

বেবিচক সূত্র জানায়, ওভারফ্লাইং আয় গত প্রায় ৯ অর্থবছরে ২ হাজার কোটি ছুঁই ছুঁই হলেও পুরোপুরি হয়নি। ১ হাজার ৫০০ থেকে থেকে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সেখানে নতুন রাডার স্থাপনের কারণে আড়াই থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার ঘরে আয় দাঁড়াবে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.