ডেস্ক নিউজ: স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর ধারাবাহিকতায় স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-২ এর প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি স্যাটেলাইট তৈরি করতে ৫/৬ বছর লাগে। সে জন্য আমরা বঙ্গবন্ধু-২ তৈরি করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি বলেন, একটা থাকলে আরেকটি যেন চালু হয়ে যেতে পারে সেটা মাথায় রেখে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। দ্বিতীয়টির টাইম শেষ হয়ে এলে আমরা বঙ্গবন্ধু-৩ এ যাব। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমরা ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাব। শেখা হাসিনা বলেন, সাগরের তলদেশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের মর্যাদাকে উন্নত করেছি। এ অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। এছাড়া স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি’র সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর মালিকানা বাংলাদেশ সরকারেরই। যারা এর মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা অর্বাচীন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এর মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা দেশকে ভালোবাসে না, স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তারা একধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলে। এধরনের অর্বাচীনের মতো কথা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য না। বাংলাদেশকে কেউ দাবায় রাখতে পারেনি, পারবে না। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মালিকানা অবশ্যই বাংলাদেশের। তবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেহেতু স্যাটেলাইটটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার হবে, যেমন- টেলিমেডিসিন, ডিটিএইচ। এসবক্ষেত্রে যে যতটুকু ভাড়া নেবে সে সেইটুকুর মালিক হবে, দুইজন ব্যক্তিতো এটার মালিক হতে পারে না। এধরনের মন্তব্য করাটাও অত্যন্ত লজ্জাজনক। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার ও এ থেকে আয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই স্যাটেলাইটে ৪০টা ট্রান্সপন্ডার আছে। যেহেতু একটা স্যাটেলাইটের আয়ুষ্কাল ১৫ বছর। এসময়ে আমাদের প্রয়োজন হবে মাত্র ২০টি ট্রান্সপন্ডার। বাকি ২০টি ভাড়া দিয়ে আমরা আয় করতে পারবো। আমরা ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানসহ বেশকিছু দেশে তা ভাড়া দিতে পারবো। জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্যাটেলাইট ইতিমধ্যে কক্ষপথে পৌঁছে গেছে। সিগনাল দিতে শুরু করেছে। একবার যখন কাজ শুরু করে দেবে, তখন কোনো সমস্যা হবে না। কোনো সন্দেহ করার কিছু নেই। এটা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তার দরকার নেই।
বার্তা বিভাগ প্রধান