গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লেভেল্যান্ড ক্লিনিক টাউসিং ক্যান্সার ইনস্টিটিউট’-এর একদল গবেষক। আগামীকাল সোমবার তাঁরা নিজেদের গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরবেন ‘আমেরিকান সোসাইটি অব ক্লিনিকাল অনকোলজি’র বার্ষিক সম্মেলনে।
গবেষকরা জানান, ‘লিকুইড বায়োপসি’ নামের এ রক্ত-পরীক্ষায় ডিএনএর অতি ক্ষুদ্র কণার সন্ধান করা হয়; যেটি কি না ক্যান্সার কোষ থেকে নির্গত হয়ে রক্তে মিশে যায়।
গবেষণার অংশ হিসেবে মোট এক হাজার ৬২৭ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ৮৭৮ জন ক্যান্সারের রোগী। বাকি ৭৪৯ জনের ক্যান্সার নেই। ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে একেকজন একেক স্টেজে আছে। কারো ক্যান্সার আছে প্রাথমিক পর্যায়ে, কারো চূড়ান্ত পর্যায়ে।
গবেষকরা বলছেন, এ রক্ত পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালো ফল মিলেছে ওভারিয়ান ক্যান্সারের ক্ষেত্রে। প্রায় ৯০ শতাংশ নিখুঁতভাবে এ ক্যান্সার শনাক্ত করা গেছে। প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার নির্ণয় ছিল ৮০ শতাংশ নির্ভুল।
অবশ্য এখনই এটি সাধারণ রোগীদের ওপর প্রয়োগ করতে রাজি নন গবেষকরা। তাঁরা বলছেন, আরো গবেষণা করতে হবে। বিশেষ করে ক্যান্সারে আক্রান্ত না হওয়ার পরও যাদের মধ্যে ওই ডিএনএ পাওয়া গেছে, তারা শেষমেশ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় কি না, তা আগে নিশ্চিত হতে হবে। সূত্র : সিএনএন।
নির্বাহী সম্পাদক