গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার পর শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা প্রশাসক মো.কামরুজ্জামান। শহরটিতে থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষ চলছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ, সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।
বুধবার আনুমানিক ৩টার দিক থেকে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় থেকে সংঘাত শুরু হয়। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গোপালগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ৪ প্লাটুন বিজিবি ও সেনাবাহিনী।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে কয়েক রাউন্ড বাবার বুলেট ও সাউন্ড ছুড়তে দেখা গেছে। এ সময় নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এছাড়া বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে এনসিপি নেতাদের নিয়ে পিছু হটতে দেখা গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে এবং থেমে থেমে মহাসড়কে সংঘর্ষ হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়েছে।
এদিকে, এনসিপির নেতাকর্মী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় গোপালগঞ্জের সমাবেশে হামলা ও ভাঙচুরের জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।