Home » দেড় যুগ পর বর্তমান আয়তনের দ্বিগুনের চেয়ে বেশি অনুমোদন পেয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন

দেড় যুগ পর বর্তমান আয়তনের দ্বিগুনের চেয়ে বেশি অনুমোদন পেয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন

১৯৭৮ সালে যখন সিলেট পৌরসভা গঠিত হয় তখনও এর আয়তন ছিল ২৬.৫ বর্গ কিলোমিটার। একই আয়তনে ২০০২ সালে সেটি রূপ পায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনে।

এতোদিন বাংলাদেশের সবচেয়ে কম আয়তনের সিটি কর্পোরেশন ছিল সিলেট। তবে প্রতিষ্ঠার প্রায় দেড় যুগ পর সেই হিসেব-নিকেশ পাল্টে গেছে। বর্তমান আয়তনের দ্বিগুনের চেয়ে বেশি সীমানা বর্ধিত করার অনুমোদন পেয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।

সোমবার প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যদিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন এমপির দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলো। ২০১৫ সাল থেকে তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা বর্ধিত করার ব্যাপারে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।

গেল বছরের আগস্ট মাসে সিটি কর্পোরেশনের নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকার তালিকা প্রকাশ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন থেকে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে সিলেট সদর উপজেলার চারটি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশ কিছু মৌজা। তন্মধ্যে রয়েছে সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজার ইউনিয়নের কুমারগাঁও, মইয়ার চর (দাগ নম্বর ৭৭, ৮২, ৮৩, ৮৯, ৯০, ৯১ ছাড়া), খুরুমখলা শাহপুর, আখালিয়া, খাদিমনগর ইউনিয়নের কুমারগাঁও, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খন্ড, টিলাগড়, দেবপুর, কসবা কুইটুক, সুলতানপুর চক, পেশনেওয়াজ, টুলটিকর ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খন্ড, টিলাগড় ও দেবপুর। দক্ষিণ সুরমার কুচাই ইউনিয়নের হবিনন্দি, মণিপুর, আলমপুর, গোটাটিকর, বরইকান্দি ইউনিয়নের পিরিজপুর, ধরাধরপুর, বরইকান্দি, গোধরাইল এবং তেতলী ইউনিয়নের ধরাধরপুর, বরইকান্দি (অবশিষ্টাংশ), বলদী (কয়েকটি দাগ) মৌজাগুলো নতুন করে সিলেট সিটির অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়। নতুন আওতাভুক্ত অধিকাংশ এলাকা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি না থাকায় সিটি এলাকা বর্ধিত করার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য উপস্থাপন করা হয়।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে দেশে আসার পর থেকেই সিলেট-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন সিটি কর্পোরেশন এলাকা বর্ধিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সুনামগঞ্জ ও এশিয়ান মহাসড়কের মাঝামাঝি ১৮০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন বর্ধিত করার দাবি জানান তিনি। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান আয়তনের চেয়ে দ্বিগুন বর্ধিত হলো সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা। চা বাগান, জলাশয়, হাওর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে রাখতে গিয়ে সেটি এর চেয়ে বেশি বৃদ্ধি করা যায়নি বলে জানা গেছে।

সিটি করপোরেশনের আয়তন বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবার পরিধিও বাড়বে বলে জানা গেছে। এই সেবার আওতায় আসবেন বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুন জনসংখ্যার মানুষ। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সিলেটবাসী।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *