Main Menu

কষ্টে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের সর্বশেষ সফরে ছিল একরাশ হতাশা! ২০১৩ সালের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। এবারের সফরে অবশ্য কোনও অঘটন ঘটেনি। কষ্ট করে হলেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে তামিম বাহিনী। হারারেতে দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছে ৩ উইকেটে।

অথচ শুরুতে ২৪১ রানের লক্ষ্যটা দেখে মনে হয়নি, বাংলাদেশের জয়ের পথটা এত দুর্গম হয়ে যাবে! এক পর্যায়ে পরিস্থিতি তৈমনিই মনে হচ্ছিল। টান টান উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত সাকিবের দৃঢ়তাতেই জিতেছে। বিপদের সময়ে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন সাইফউদ্দিন। ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত করে ৪৯.১ ওভারে।

অবশ্য জিম্বাবুয়ে ৪৩তম ওভারে সাইফউদ্দিনের ও ৪৬.২ সাকিবের ক্যাচ নিতে পারলে পরিস্থিতি ভিন্নও হতে পারতো। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর ঘটেনি। তবে এই জয়ের মূল কৃতিত্ব সাকিব আল হাসানেরই। ৪ ইনিংস ধরে ব্যাটে বড় রান পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত চেনা ছন্দে ফিরলেন ঠিকই। কিন্তু আক্ষেপ রয়ে গেলো তাতে। ৪ রানের জন্য পাননি কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি! ম্যাচসেরা ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকেছেন ৯৬ রানে। তার ১০৯ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার। সাকিবের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়া সাইফ অপরাজিত থেকেছেন ২৮ রানে।

৪৬ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন লুক জঙউই। একটি করে নিয়েছেন মুজারাবানি, মেধেভেরে, সিকান্দার রাজা ও এনগারাভা।

অথচ ২৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা সাবধানেই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতাতেই সফরকারীরা চাপে পড়ে যায় এক সময়। এক পর্যায়ে স্কোর দাঁড়িয় ১৭৩ রানে ৭ উইকেট! কঠিন এই পরিস্থিতিতেই একপ্রান্ত আগলে ব্যাট করতে থাকেন সাকিব। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চার ইনিংস পর তুলে নেন ৪৯তম হাফসেঞ্চুরি। এছাড়া ব্যাটসম্যানদের আশা যাওয়ার মিছিলে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৫৫, আফিফের সঙ্গে ২৮ এবং সাইফউদ্দিনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরেও পৌঁছে দেন তিনি।

এর আগে হারারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৪০ রান। সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে ওয়েসলি মাধেভেরের ব্যাট থেকে। এছাড়া অবদান রেখেছেন ব্রেন্ডন টেলর (৪৬), ডিয়ন মায়ার্স (৩৪), সিকান্দার রাজা (৩০) ও রেগিস চাকাভা (২৬)।

মূলত ষষ্ঠ উইকেটে সিকান্দার রাজা ও মেধেভেরের ৬৩ রানের জুটিই দুইশো ছাড়াতে ভূমিকা রাখে স্বাগতিকদের।

বল হাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল শরিফুল। শেষের আঘাতে বাঁহাতি পেসার ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সাকিব ১০ ওভারে ৪২ রান খরচায় পেয়েছেন ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট শিকার তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.