Main Menu

আসামীরা প্রকাশ্যে সিলেট নগরে ঘুরাফেরা করছে, এসব কথা জানান ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা

সিলেটের জাফলংয়ে গিয়ে লাইকি ভিডিও করার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা রিকশাচালক এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে সিলেট নগরে। উল্টো মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে নিরাপত্তহীনতায় রয়েছেন নির্যাতিতা কিশোরী ও তার বাবা-মা।

সোমবার (১৪ জুন) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা।

ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ইসলামপুরে। বর্তমানে তারা জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর বাজার এলাকায় বসবাস করছেন। নির্যাতিতার বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক।

সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিতা তরুণীর বাবা বলেন, সম্প্রতি লাইকি অ্যাপসে ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার টিলাগড় এলাকার লিজা নামে এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয় আমার মেয়ের। তাঁর মাধ্যমে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাণীগাজী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে জুবায়ের আহমদ ওরফে মি. ফান্নী আহমদের সাথে ফোনে পরিচয় হয়। জুবায়ের বর্তমানে সিলেট নগরের শিবগঞ্জ লামাপাড়া এলাকার মোহিনী ৮৩/এ বাসায় তার বোনের সাথে থাকে। এরপর তারা সবাই ফোনে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতো। জুবায়ের মি. ফান্নী আহমদ নামে লাইকি অ্যাপস ব্যবহার করে বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করতো।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও উল্লেখ্য করেন, গত ১৭ মে তাঁর তরুণী মেয়ে আমার বাসার মালিকের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ বেড়াতে যায়। সেখানে অবস্থান করাকালে ১৯ মে লিজা আমার মেয়েকে বলে লাইকি ভিডিও করতে জাফলং বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে। সেখানে গিয়ে সবাই মিলে ভিডিও করবে বলে জানায়।

বিষয়টি আমার মেয়ে আমাকে অবগত করলে আমি লিজার সাথে কথা বলে তাঁকে জাফলং যাওয়ার অনুমতি দেই। এরপর লিজা আমার মেয়েকে বিশ্বনাথ উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে লিজা তাকে সিলেট নগরের শিবগঞ্জ এলাকায় জুবায়েরের বাসায় নিয়ে যায়। এসময় আমার মেয়ে ওই বাসায় যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে লিজা তাকে বলে এখানে একটু সময় বসতে হবে। সে বাসা থেকে কাপড় বদলে আসলে জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হবে। তখন জুবায়ের আমার মেয়ে নাস্তা খেতে দেয়।

নাস্তা খাওয়ার পরপরই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় জুবায়ের আমার মেয়েকে জোরপূর্বক রাতভর ধর্ষণ ও মারধর করে। পরদিন সকালে আমার মেয়েকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বিশ্বনাথ আমার এক আত্মীয়র বাসাতে দিয়ে যায়। এসময় জুবায়ের এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়।

নির্যাতিতার বাবা আরো বলেন, আমার মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসার পর সে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ২৬ মে সিলেটের শাহপরাণ থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে বিষয়টি তদন্ত ও সরেজমিনে তদন্ত করে গত ১জুন মামলা রুজু হয়। মামলা নং ০১ (০১/০৬/২০২১)। মামলা দায়েরর এতোদিন পরও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

আসামীরা প্রকাশ্যে সিলেট নগরে ঘুরাফেরা করছে। এছাড়া মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমার মেয়েকে প্রাণে মারা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্য চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন নির্যাতিতার অসহায় বাবা।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.