Main Menu

শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা পেতে তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনের নির্দেশ

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ দুই বছরে প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতকে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি ও সংশোধন করা যাবে ৭ জুন পর্যন্ত। মাধ্যমিক ওউচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি না করায় ও ভুল তথ্য দেয়ায়  অনেক শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়নি। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের তথ্যই এন্ট্রি করেনি। অনেক শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য ভুল থাকায় টাকা ‘বাউন্সড ব্যাক’ হচ্ছে। আর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্যও পাওয়া যায়নি। বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য টাকা দ্রুত দিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ও ২০২০-২১ অর্থবছরে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও ভুল সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।

অধিদপ্তর থেকে জারি করা আদেশে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে এমআইএস সফটওয়্যারে ৭ জুনের মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ও ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতকে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য এন্ট্রি ও ভুল সংশোধন করতে বলা হয়েছে।

অধিদপ্তর সূত্র  রাজস্ব খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ও ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতকে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমআইএস সফটওয়্যারে (http://hspbd.com/HSP-MIS/login) লগইন করে ৭ জুনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি করতে হবে।

অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী ২০১৯-২০ অর্থবছরে তাদের ব্যাংক হিসেবে বৃত্তির টাকা পেয়েছে এবং পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের তথ্য নতুন করে এন্ট্রি করতে হবে না। তবে, নির্বাচিত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শ্রেণিতে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী-যারা মাস্টার্সে পড়ছেন, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের উত্তীর্ণ এসএসসি ও এইচএসসিতে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী এবং সবউপবৃত্তি ও পেশামূলক বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এমআইএস সফটওয়্যারে নতুন তথ্য ও ভুল তথ্য সংশোধন করতে হবে। আর টাকা বাউন্স ব্যাংক হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে সংশোধন করতে হবে।

সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে অধ্যয়নরত আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে তথ্য এন্ট্রি করতে হবে। পাঠবিরতি রয়েছে এমন শিক্ষার্থীর তথ্য দেয়া যাবে না। মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড থেকে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি করা যাবে না। দেশের অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসীলভুক্ত ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে বা ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একক বা বাবা-মায়ের সাথে যৌথ  নামে ব্যাংক হিসাব বা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। অনলাইন ব্যাংক হিসেব নম্বর অবশ্যই ১৩-১৭ ডিজিটের মধ্য হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে তা পূরণ করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এমআইএসে এন্ট্রির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবের নাম ও শিক্ষার্থীর নাম অভিন্ন হতে হবে। শিক্ষার্থীর পরীক্ষার আইডি-রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম ও বছর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। বৃত্তির ক্যাটাগরি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। তথ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।

জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে রাজস্বখাতভুক্ত সব ধরনের বৃত্তির টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা পাঠানো হচ্ছে।

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.