1. [email protected] : .com : sk .com
  2. [email protected] : আশফাকুর রহমান : Ashfakur Rahman
  3. [email protected] : বিপ্র দাস বিশু বিত্রম : Bipro Das
  4. [email protected] : Zihad Ul Islam Mahdi : Zihad Ul Islam Mahdi
  5. [email protected] : মোঃ মাহফুজ আহমদ : মোঃ মাহফুজ আহমদ
  6. [email protected] : Najim Ahmed : Najim Ahmed
  7. [email protected] : Md Sh : Md Sh
  8. [email protected] : শুদ্ধবার্তা ডেস্ক : SB 24
  9. [email protected] : shuddhobarta24@ : আবু সুফিয়ান
  10. [email protected] : Abdur Rasid : Abdur Rasid
'বাংলাদেশে ৭০ লাখ মাদকসেবী, ফিলিপিনের চেয়েও বেশি'
       
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

‘বাংলাদেশে ৭০ লাখ মাদকসেবী, ফিলিপিনের চেয়েও বেশি’

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮

অনলাইন ডেস্ক:  বাংলাদেশে মাদক ব্যবসা এবং এর ব্যবহার এখন এক ‘ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে’ এবং ‘রক্ষণশীল অনুমান অনুযায়ী’ এখন দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৭০ লক্ষ এবং এর অধিকাংশই ইয়াবাসেবী – বলছেন একজন বিশেষজ্ঞ। এটা ফিলিপিনের চাইতেও অনেক বেশি, কারণ ২০১৬ সালেও সেদেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ছিল ১৮ লক্ষ” – বলছেন নর্থসা্‌উথ বিশ্বিবদ্যালয়ের অধ্যাপক এমদাদুল হক, যিনি উপমহাদেশে মাদকাসক্তির ইতিহাস নিয়ে একাধিক বই লিখেছেন। ফিলিপিনে রডরিগো দুতার্তের সরকার গত বছর মাদকের বিরুদ্ধে যে সশস্ত্র অভিযান শুরু করে তাতে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮শ’-রও বেশি মাদকাসেবী, বিক্রেতা বা পাচারকারী নিহত হয়েছে – যাকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘বিচার-বহির্ভূত হত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক এমদাদুল হক বলেন, বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং ভয়াবহ।

 

বাংলাদেশেও মে মাসের শুরু থেকেই এক মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ও র‍্যাব, এবং সোমবার পর্যন্ত ১৭ দিনে পুলিশের ভাষায় ‘বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ২৩ জন মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারী’ নিহত হয়েছে। এরা বিভিন্ন ধরণের মাদক বিশেষ করে ইয়াবা বিক্রি ও পাচারের সাথে জড়িত বলে বলা হচ্ছে।

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলছেন, মাদকব্যবসার সাথে সন্ত্রাসী-অস্ত্রবাজরা জড়িত হয়ে পড়েছে এবং এ ব্যাপারে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে মাদক ব্যবসা এবং ব্যবহারের ব্যাপকতা আসলে ঠিক কতটা? অধ্যাপক এমদাদুল হক বলছেন, বাংলাদেশে মাদকাসক্তদের একটা বড় অংশই হচ্ছে ইয়াবা সেবী। তা ছাড়া আছে ফেন্সিডিল, হেরোইন এবং অন্যান্য মাদক।

 

তিনি বলেন, এতদিন এ বিষয়টা খোলামেলা ভাবে আলোচিত হয় নি, কিন্তু পরিস্থিতি সত্যি ভয়াবহ।

 

“বিভিন্ন নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে আমি মাদকাসক্তদের সাথে কথা বলে আমি যে তথ্য পেয়েছি তা সরকারি পরিসংখ্যানের চাইতে বেশী। সব মিলিয়ে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৭ থেকে ১০ মিলিয়নের মধ্যে হবে।”

 

কিন্তু বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এখন মাদকব্যবসা এবং পাচার ঠেকাতে যে কঠোর কর্মর্সূচি শুরু করেছে – তা কি এই সমস্যা মোকাবিলার সঠিক পন্থা?

 

“বাংলাদেশে এ সমস্যার মোকাবিলা করতে গেলে এর চাহিদা, সরবরাহ, চিকিৎসা – এরকম অনেকগুলো দিক দেখতে হবে। একক কোন পন্থা নিয়ে এরকম একটা বিরাট সমস্যার মোকাবিলা করা প্রায় অসম্ভব। এর জন্য একটা সামগ্রিক কৌশলগত পরিকল্পনা এবং কার্যকর পদক্ষেপ লাগবে” – বলেন তিনি।

 

অধ্যাপক হক বলেন, মাদক পাচারের দুটো দিক আছে। একটি হলো পেডলার বা খুচরো বিক্রেতা, আরেকটা হচ্ছে যারা এই ব্যবসার মূল নিয়ন্তা – যারা গডফাদার।

 

বাংলাদেশে এ সরকারি অভিযানে যারা টার্গেট হচ্ছে তারা প্রধানত পেডলার লেভেলের। এখানে গডফাদারদের যে বিষয়টা তারা অনেক সময়ই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকে। তাদের হাতে কোন মাদক থাকে না, তাই এটা একটা আইনী সমস্যা যে কর্তৃপক্ষ তাদের পেছনে লাগলেও তাদের হাতে কিছু পায় না।

 

এই ব্যবসার সাথে জড়িত যারা তারা যদি রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী হয়, তাহলে যে অভিযান এখন চলছে – তাতে আসলে কতটা কাজ হবে?

 

এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক হক বলেন, “বাংলাদেশে এটা নির্বাচনের বছর। তাই সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ – এই যে যারা গডফাদার আছে যাদের কথা সরকার নিশ্চয়ই জানে – তাদেরকে হয় শাস্তি দিতে হবে অথবা কঠোরভাবে সতর্ক করতে হবে, যাতে তারা এ থেকে বিরত হয়। এরকম একটা প্রভাব বিস্তারের পদক্ষেপ নেয়া যায় কিনা তা সরকার ভেবে দেখতে পারে।”

Leave a comment

এই বিভাগের আরো সংবাদ
shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.