Main Menu

সাদা মনের মানুষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমান

তিনি এমনই একজন শিক্ষক। যার ট্রান্সফারের খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের মনের আকাশে জমে মেঘ, কর্মকর্তা কর্মচারীরা আড়ালে ফেলেন চোখের জল। যেন এক রুপকথার গল্প। শোনার পরে ঘিরে থাকবে একরাশ মুগ্ধতা। রংপুরের দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজের লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমান। যিনি গোটা প্রতিষ্ঠানটি সাজিয়েছেন রুপকথার মতো। যিনি অধ্যক্ষ হয়েও ক্যান্টিনে গিয়ে সিঙ্গারা বিক্রি করতে পারেন, মাঠে নেমে পড়তে পারেন বাচ্চাদের সাথে কানামাছি খেলতে কিংবা অনুষ্ঠানে আয়োজনে র‍্যালিতে রিকশা ভ্যান নিজেই চালিয়ে যেতে পারেন। এমনই একজন অভিভাবকের যখন ট্রান্সফারের সংবাদ আসে স্বাভাবিকভাবেই চোখের জল কেউ ধরে রাখতে পারেন না। তাহলে ছোট ছোট শিশুরা কীভাবে পারবে। বিদায়ের খবর শুনে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়ে শিক্ষার্থীরা। অফিস কক্ষে এসে ঘিরে ধরে প্রিয় স্যারকে। কিন্তু উপায় কী? তাহলে কী এতোগুলো মানুষের ভালোবাসা, চোখের জল বৃথা হয়ে যাবে? শেষ পর্যন্ত বৃথা যায়নি। তার আগে আসুন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমানের আবেগ ঘন ফেসবুক পোস্টটি পড়ি। যেটি তিনি নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। তিনি ভালোবাসাকে শিরোনাম করেছেন ‘সর্বনাশা ভালবাসার অরুনিমায়…’ তিনি লিখেছেন তা হুবহু এমন , এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল।
‘জন্মিলে মরিতে হইবে’, এটাই তো চিরন্তন সত্য। পুরনো প্রাণের প্রস্থান না হলে কিভাবে নতুনের আগমন ঘটবে। পেশাগত দিকে আমি একজন আর্মি অফিসার, আমার কৈশোর পেরুনো দিনগুলো থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ আর রীতিনীতির মাঝে অতিবাহিত হতে থাকে সময়। এভাবেই একে একে যৌবন, মধ্যবয়স পেরিয়ে বেলাশেষের প্রস্তুতি গ্রহণকালে হঠাৎ পোস্টিং হয়, দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর এর অধ্যক্ষ হিসেবে। পোস্টিং অর্ডার শোনার সাথে সাথে মনটা অনিশ্চয়তায় কেঁপে উঠল। খুবই চিন্তিত হলাম, আমি কেমন করে এই দায়িত্বটা পালন করব। এই পদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোন জ্ঞান-তো আমার নেই। সেদিন আমার স্ত্রী আমার পাশে বসে পরম নির্ভরতার সাথে বলেছিল, পোস্টিংটা স্বাভাবিকভাবেই নাও। যারা তোমাকে পোস্টিং করেছেন নিশ্চয়ই ভাল কিছু চিন্তা করেই করেছেন। ওর কথা শোনার পর মন খারাপের রেশটা কেটে গেল। সামরিক পেশায়, পেশাগত প্রয়োজনেই আমাদের কিছুটা রুথলেস হতে হয়। এখানে আমাদের শেখানো হয় প্রতিপক্ষের মৃত্যুকে স্বাগত জানাতে। এক বুলেট, এক শত্রু- এই মূলমন্ত্রে নিজেদের শাণিত করতে আমরা ফায়ারিং রেঞ্জে অনবরত গুলি ছুড়ি লক্ষ্যবস্তুর দিকে। কাল্পনিক শত্রুকে নানান আকৃতির বানিয়ে- দাঁড়ানো, বসা, শায়িত ভঙ্গিতে রুপ দিয়ে আমরা ছুড়তে থাকি বুলেট। পরিস্থিতি ও কৌশলের প্রয়োজনে আমরাও পরিবর্তন করি আমাদের অবস্থান- কখনও দাঁড়িয়ে, কখনও বসে, কখনও হাঁটু গেড়ে, কখনও শুয়ে ছুড়তে হয় গুলি। বছরের পর বছর চলে এমন প্রশিক্ষণ। মৃত্যু, আর্তচিৎকার, রক্তক্ষরণ এগুলো সামরিক জীবনের/যুদ্ধক্ষেত্রের নৈমিত্তিক ঘটনা। প্রতিপক্ষকে যত দ্রুত ঘায়েল করা যায়, ততই ত্বরান্বিত হয় কাংখিত বিজয়। এমন সব কাজের জগত থেকে হঠাৎ শিক্ষাঙ্গনে গিয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে নতুন কাজ করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমার নতুন দায়িত্বের কথা শুনে আমার কিছু বয়োবৃদ্ধ আত্মীয় বললেন, আর্মি-কি তোমাকে রিটায়ারমেন্টে পাঠিয়ে দিল? আমি হেসে বললাম, না, ওনারা হয়ত আমাকে দিয়ে শত্রু মারার চেয়ে মানুষ গড়ার কাজটা করাতে চাচ্ছেন। রংপুরে এসে পৌঁছলাম, ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি তারিখে। আমাকে সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত সামরিক গাড়ির চালককে বললাম,’আমাকে প্রথমে মিলেনিয়াম স্টারস স্কুলে নিয়ে যাবে।’ চালক বলল- ‘স্যার, রাতে তো তেমন কিছুই দেখা যাবেনা।’
আমি মৃদু হেসে বললাম, ‘তোমার কথাটা ঠিক, তারপরও আমাকে সেখানে নিয়ে যাও। কারণ, আমি আমার জন্য নির্ধারিত অফিসার্স মেসের কক্ষে ঢোকার আগে, সেই স্থানের মাটিকে স্পর্শ করতে চাই, যেখানে আমার সামনের কয়েকটি দিন জড়িয়ে থাকবে।’ রাত সাড়ে নয়টায় আমরা পৌঁছলাম আমার নতুন ঠিকানা- দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল ও কলেজের সীমানায়। জানুয়ারি মাসের শীতের রাত। কনকনে শীত। স্কুলের কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরী এসে জানতে চাইল পরিচয়। রাতের আঁধারে অস্পষ্ট স্কুল ভবনটির মতো আমিও ওর কাছে কিছুটা অস্পষ্ট থাকতে চাইলাম। বললাম, ‘নতুন এসেছি রংপুরে, শুনলাম স্কুলটা ভাল, বাচ্চাদের ভর্তি নিয়ে চিন্তায় আছি, তাই একনজর এই স্কুলটা দেখতে এসেছি।’
নিরাপত্তা প্রহরী বলল- ‘দিনের বেলা আসেন, ভাল করে দেখেন, স্যারদের সাথে কথা বলেন, স্যাররা দেখবেন ভর্তি করা যায় কিনা?’ ও তখনো জানেনা, তাঁর সাথে কথোপকথনরত এই লোকটিই সামনের দিনগুলোতে এই স্কুল ও কলেজের সকল কার্যক্রমের সাথে মিশে যাবেন তাদেরই একজন সহকর্মী হয়ে কিছুদিনের জন্য। গাড়ী বারান্দার পিলারটি স্পর্শ করে কাল্পনিক একটা অনুভূতির শিহরণ অনুভব করলামে। কিছুটা এদিক ওদিক উঁকি মেরে দেখলাম, ধীরে ধীরে হাটলাম, তারপর চললাম… অফিসার্স মেসের দিকে। খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম, খেলার মাঠটি নানান ধরণের নির্মাণ সামগ্রীতে ভরপুর দেখে। শিশুর প্রথম চাহিদাই তো ছুটাছুটির একটু জায়গা…। প্রজাপতির মতো উড়তে পারা… ফড়িং এর লেজ আর পাখনা ধরে টানাটানি করা…ঘাসে আর মাটিতে লুটোপুটি খেয়ে জামা ময়লা করে বাসায় ফিরে মায়ের বকা খাওয়া…। শৈশবে একটুকরো রঙিন দিন পাওয়া ওদের অধিকার…। কারো দয়া নয়। পরদিন স্কুলে এসে তৎকালীন প্রিন্সিপাল সাঈদ আহমেদ স্যারের সাথে দেখা করলাম। স্যার ও ভিপি ম্যাডাম আন্তরিকতা নিয়ে আলাপ করলেন। যেহেতু স্যার তখনও দায়িত্বে ছিলেন তাই আমি অনানুষ্ঠানিকভাবে স্কুলের বিভিন্ন অংশ ঘুরে ফিরে দেখছিলাম ও ধীরে ধীরে আমার মানসপটে আঁকতে শুরু করেছিলাম কল্পনার আলপনায় কিছু উচ্চাভিলাষী দৃশ্য। পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠবে মানবিক গুণাবলি নিয়ে। খেলাধুলা করে মজবুত শারীরিক গঠন নিয়ে ওরা তৈরী হবে তেজোদীপ্ত নাগরিক হিসেবে, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হবে আমাদের সোনামনিরা। ওরা জানবে সমাজে মাথা উঁচু করে বাচঁতে হলে শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলে হবেনা, ভাবতে হবে আমাদের চারপাশ নিয়ে। মানুষের কষ্টে চুপ করে থাকা যাবেনা। নৈতিকতা আর চারিত্রিক মূল্যবোধের আলোয় উদ্ভাসিত হতে হবে। মা-বাবা সহ অন্য সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্ববোধ সম্পন্ন হতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এগুলো কে করাবে ওদের? আমাকেই করতে হবে। এটাই আমার চ্যলেঞ্জ। প্রথমেই শুরু করি স্কুল গেট/প্রবেশ পথ থেকে, আমার সোনামনিদের সাথে আসসালামু আলাইকুম, গুড মর্নিং, ওয়েলকাম টু ইওর লাভিং স্কুল’ বলে।
কারণ- আমি মনে করতাম, এটা শিশুদের স্কুল। ওদের রাজত্ব। ওদের জন্যই আমরা আছি। আমাদের জন্য ওরা না। ওদের আগমনে জেগে উঠে যে ক্যাম্পাস, সেই ক্যম্পাসের বাকী সবাই তো ওদের আগমনের খুশিতে ওদের অভ্যর্থনা জানাবে, নাচবে, সুর করে গাইবে। শিশুরা যখন চলে যায়, পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে নেমে আসে যেন মৃত্যুপুরীর ছায়া।আমার দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়। আমি অধীর হয়ে থাকি আর একটি সকালের। ওদের আসার প্রতিক্ষায়। ওদের কলকাকলী যেন এক তীব্র সঞ্জীবণী শক্তি। শুরু করেছিলাম- একটি শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পড়াশোনার কার্যক্রম, ক্লিন এন্ড গ্রিন প্রোগ্রাম, একটি খেলার মাঠ পাওয়ার চেষ্টা, একটি সুন্দর লাইব্রেরি-যেখানে অকারণেও যেতে মন চাইবে, কমন রুম, দৃষ্টিনন্দন বাগান, পানির ছুটে চলার শব্দময় ঝরণা, একুয়ারিয়াম, অর্কিড ও ক্যাক্টাস গার্ডেন, এগ্রিকালচার পার্ক তৈরি। প্রতিটি কাজের পেছনে ছিল সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য। রাতের পর রাত ছুটে গিয়েছি শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে। জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে গিয়েছি। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে গিয়েছি। কর্দমাক্ত পথে স্যন্ডেল খুলে, প্যাণ্ট গুটিয়ে হাজির হয়েছি আমার তারাদের বাসায়। দেরি করলে তো চলবেনা। ওদের সমস্যাগুলো জেনে সমাধানের পথ দেখিয়ে দিতে হবে। কখনও হাতে থাকত মার্কশীট। ফিরতে ফিরতে গভীর রাত হত। আমার স্ত্রী অসুস্থ অবস্থায় কখনও কখনও বলতো- ‘ভুলে যেওনা তোমারও একটি পরিবার আছে”। আমি চুপিচুপি সৃষ্টিকর্তাকে বলেছি- ‘হে প্রভূ, তুমিই সহায়…’ বারবার আমার শিক্ষকদের বলেছি- ‘আপনি কত বেশি জানেন, তা, আপনার শিক্ষার্থীদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তাঁর ব্যাপারে কত বেশি যত্নশীল সেটা। তাই আমাদের সকল কাজেই যেন যত্নটাই মুখ্য হয়।’ দিন গড়িয়ে যেতে থাকে। আমিও ছুটতে থাকি আমার ভালবাসার প্রজাপতি, ফুল-পাখি আর তারাদের সাথে। কখনও টিফিন পিরিয়ডে ক্লাসে বসে ওদের সাথে চুটিয়ে গল্প, ভীড় সামলাতে কখনও ক্যন্টিনে বিক্রি করতে থাকি সিঙ্গারা, ছমুচা, কখনও মাঠে গিয়ে কানামাছি, মাংকি মাংকি খেলা, বাগানের গাছের সাথে পরিচয়, শিশুদের দলবেঁধে রিকশা চড়ানো… সবাই মিলে ফ্লোরে বসে খাতা চেক করা…। ওদের বিস্ময় ভরা চোখ, পিটপিট করে তাকানো, আর নরম কণ্ঠে উচ্চারিত- ‘তুমি থাকলে, আমাদের স্কুলে আসতে ভাল লাগে…..’ কথাগুলো আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয়…ওদের ভালোবাসার কাছে আমি হেরে যাই। এই হেরে যাওয়া যে কি মজার………আর হৃদয়স্পর্শী…তা বোঝাতে পারবোনা। আর এই পথে চলতে গিয়ে আমি অনুভব করি এক ভয়ংকর অদৃশ্য মায়ার জাল আমাকে ঘিরে ফেলছে, আমি চিৎকার করে উঠি…… কিন্তু কানে যেন শুনতে পাই সেই চিৎকার সুর হয়ে বাজছে, আমি হারিয়ে যাই এক স্বপ্নময় ভুবনে। যে আকাশসম ভালোবাসায় আমাকে আমার ছাত্রছাত্রীরা জড়িয়েছে তা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ ছিল উপরের অংশে বলা গুণাবলী ওদের মধ্যে সৃষ্টি করার প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া …। আমি এজন্য দায়বদ্ধ ছিলাম……

আমার অফিসে এসে শিশুরা কাঁদতে কাঁদতে বলে গেল আপনি চলে গেলে আমরা স্কুলে আসবনা। আমি বোঝানোর চেষ্টা করলাম, স্কুলে না আসলে তোমরা বড় হতে পারবেনা। সাথে সাথে চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে বললো, ‘আমরা বড় হবনা। আমাদের বড় হওয়া লাগবেনা…।’ কি করুণ সেই দৃশ্য! আমি অসহায়ের মতো জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছি, হে প্রভূ, তুমি ভালোবাসাকে কেন এত তীব্র করে সৃষ্টি করেছ? আজ বিদায়ের ঘণ্টা শুনে আমার শিশুগুলো যখন কাঁদছে, আমি দৃঢ় কণ্ঠে ওদের বোঝানোর চেষ্টা করছি পুরানোর প্রস্থান আর নতুনের আগমনই জগতের নিয়ম। এটাই মানতে হবে। কিন্তু আমার হৃদয়? সেখানে এক প্রলয়ংকরী ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সমুদ্রের উপরের পৃষ্টে শান্ত স্রোতের আড়ালে গভীরে সৃষ্ট ভুমিকম্প বা সুনামি অনেক পর্যটকের কাছে দৃশ্যমাণ হয়ত হয়না। কিন্তু আমি কি আমার নিজের কাছে সেই সত্য কে আড়াল করতে পারি। হয়ত একেই বলে সর্বনাশা ভালোবাসা। লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমানের বিদায়ের খবরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও হইচই পড়ে যায়। বিশেষ করে অভিভাবক মহলে অমানিশার অন্ধকার জমা হয়। শিশুদের কান্নার ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গতকাল সোমবার তাঁর বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়। সেনাবাহিনী হেডকোয়ার্টার থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমানের বদলি আদেশ স্থগিত করে। এই ঘটনার পর সকল মহলেই আনন্দের ফল্গুধারা বয়ে যায়। একজন অফিস সহকারী ফেসবুক হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে, ছোট্ট সোনামণিদের চোখের পানি, সবার দোয়া বৃথা যায়নি। স্যার এর বদলি বাতিল হয়েছে। এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে স্যার এর প্রিয় মুখখানা আবার প্রতিদিন দেখতে পাব। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন। আমিন। একজন অভিভাবক নিজের ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, পড়াশোনা শেষ করেছি অনেক আগেই, অধ্যক্ষ মানেই ভয়ের জায়গা সে ধারণা এসময় এসে যে ভেঙে দিল আমার মেয়েদের প্রাণপ্রিয় অধ্যক্ষ নাজমুর স্যার। তার পরিবারের সাথে কিছু স্মৃতি বিজড়িত সময় অতিবাহিত করলাম, স্যার আপনি যেখানেই থাকবেন সকলের মাঝে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখবেন, এই দোয়া করি। আজিজুল হক নামের একজন লিখেছেন, সত্যি আপনি সুপার পাওয়ার ছাড়া সুপারম্যান। আপনার সাথে সবস্ময় সৃষ্টিকর্তার দোয়া থাকবে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে আমার সুপারম্যানের মতো একজন ভাই রয়েছে। প্রিয় শিক্ষকের বদলি বন্ধ হওয়ায় পুরো রংপুর যেন গতকাল আনন্দে ভেসেছে।

 

Leave a comment






এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

shuddhobarta24
Privacy Overview

This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.