গতকাল শনিবার সকালে ৪ জন শিক্ষার্থী বেড়াতে এসে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার দরিয়ানগর দুর্গম পাহাড়ে পথ হারিয়ে ফেলে। তারা দুর্গম পাহাড়ে উঠতে গিয়ে আটকা পড়ে। তারা খাড়া পাহাড় বেয়ে নামার পথ হারিয়ে ফেলে । পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় হাতির মল ও পায়ের ছাপ দেখে ভীত হয়ে পড়ে তারা।
কোন উপায় না পেয়ে তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে। কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের পাশের পাহাড় থেকে সাগরে বিমান বাহিনীর মহড়া তাদের চোখে পড়ে। পরে ৯৯৯ থেকে বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফোন করে বিষয়টি জানানো হলে আটকে পড়া তরুণদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয় মেরিন ড্রাইভের রামু থানাধীন দরিয়ানগর পাহাড়ে।
পরে বিমান বাহিনীর ‘In Aid to Civil Power’এর আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক, চট্রগ্রাম সার্চ এন্ড রেসকিউ টিম গঠন করে এবং বিকেল সাড়ে চারটায় বিমান বাহিনীর একটি এডব্লিউ-১৩৯ সার্চ এন্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠায় ।
হেলিকপ্টারটি সন্ধ্যায় কক্সবাজার এসে পৌঁছায় এবং সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় বিমান বাহিনী ঘাঁটি শেখ হাসিনা, কক্সবাজার এর সহায়তায় সার্চ এন্ড রেসকিউ টিমের মাধ্যমে দুর্গম পাহাড়ে আটকে পড়া ৪ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বিমান বাহিনী কক্সবাজার বিমানবন্দরে আনে। যেহেতু পাহাড়ে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার মতো উপযুক্ত স্থান ছিলনা, তাই শিক্ষার্থীরদের বিশেষ রেস্কিউ রোপের সাহায্যে হেলিকপ্টারে তোলা হয়।
উদ্ধারকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন রাফসান(২৫), অভীক(২৭), মেজবাহ (২৬) এবং আবরার(২৬)।
কক্সবাজারস্থ বিমান বাহিনী ঘাঁটি শেখ হাসিনার রাডার ইউনিটের অধিনায়ক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মামুনুর রশীদ এ বিষয়ে বলেন, শনিবার বিকালে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয় কক্সবাজারের হিমছড়ি সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে ৪ যুবক দিক হারিয়ে ফেলেছে। পরে তথ্য পেয়ে বিমান বাহিনীর উদ্ধারকারি দলের পক্ষ থেকে ওই যুবকদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়।
সেই সাথে মোবাইল ট্যাকিং করে দিকভ্রান্ত যুবকদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দিয়ে তাদের পাহাড় থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। পরে উদ্ধার হওয়া যুবকদের পুলিশের মাধ্যমে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হয়।
বার্তা বিভাগ প্রধান