Home » মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে এগিয়েছে বাংলাদেশ

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে এগিয়েছে বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ : আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে দ্রুত এগিয়েছে বাংলাদেশ গেলো বছর বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ২১ শতাংশ নিষ্ক্রিয় ছিলো। দেশে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির আওতায় বিশাল জনগোষ্ঠী চলে আসলেও এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ ব্যবধান আগের মতোই রয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘দ্যা গ্লোবাল ফিনডেক্স ডাটাবেজ-২০১৭’ এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্কদের অর্ধেক মানুষ মোবাইল ব্যাংক সেবার আওতায় চলে এসেছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ৫ কোটি ৬৭ লাখ মানুষ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় চলে এসেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দ্রুত এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪ থেকে ২০১৭ এই সময়ে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হার প্রায় ২১ ভাগ বেড়েছে। তবে নারী-পুরুষ ব্যবধান এ ক্ষেত্রে এখনও প্রায় ৩০ ভাগ। বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেবার বাইরে যত মানুষ রয়েছে তার ৬৫ ভাগ নারী। বাংলাদেশে নিস্ক্রিয় একাউন্টের সংখ্যা ২১ ভাগ হলেও পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে এর সংখ্যা আরো বেশি। ২০১৭ সালে আফগানিস্তান, নেপাল ও শ্রিলঙ্কায় এক-তৃতীয়াংশ একাউন্ট নিষ্ক্রিয় ছিলো। ভারতে এই হার অর্ধেক পাওয়াগেছে। ভারতের আর্থিক খাতে নতুন সংস্কার এবং দ্রুত নতুন করে কৃষকদের ব্যাংকিং সেবার নিয়ে আসায় নিস্ক্রিয় একাউন্টের সংখ্যা বেশি হয়েছে। এগুলো সচল হলে এই হার কমে আসবে। তবে পাকিস্তানে এই হার মাত্র ১৩ শতাংশ ।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী আর্থিক অন্তর্ভূক্তি বেড়েছে। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আর্থিক সেবা গ্রহণ সহজ হয়েছে। কিন্তু এখনও বিশ্বে অনেক এলাকা এই সুবিধার বাইরে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। বিশ্বের প্রাপ্তবয়স্কদের ৬৯ শতাংশ বা ৩৮০ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং সেবার আওতায় এসেছে। ২০১৪ সালের পর মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ৬২ ভাগ। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৫১ কোটি ৫০ মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং সেবার আওতায় এসেছে। এক্ষেত্রে নারী পুরুষের ব্যবধান ২০১১ সালের মতোই রয়েগেছে, যা ৯ শতাংশের মতো। ১৪৪ দেশের তথ্য এই দ্যা গ্লোবাল ফিনডেক্স এ উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম উল্লেখ করেছেন, সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে অর্থিক অন্তর্ভূক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মাধ্যমে দারিদ্র্যতা এবং অসমতাও কমে আসতে সাহায্য করে। বিশ্বে আর্থিক অন্তর্ভূক্তি বাড়লেও ১৭০ কোটি মানুষ ব্যাংকিং সেবার বাইরে রয়েছে। যদিও তাদের দুই-তৃতীয়াংশের হাতে মোবাইল ফোন সুবিধা রয়েছে। ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে নানা ভাবে সাধারণ মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব। উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, সরাসরি একাউন্টের মাধ্যমে সরকারি বেতন, পেনশন এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ব্যয় করা অর্থ দেওয়া হলে বিশ্বে নতুন করে ১০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব। বেসরকারি খাতে যে মজুরি বা বেতন দেওয়া হচ্ছে তার মাধ্যমে ২০ কোটি মানুষকে নতুন করে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে নিয়ে আসা সম্ভব। কৃষি খাতে দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা যদি একাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে নতুন করে আরো ২০ কোটি কৃষককে ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *